শপথও নেবে না, চা-চক্রেও যাচ্ছে না ঐক্যফ্রন্ট ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যাচ্ছে না জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সেইসঙ্গে গণফোরামের নির্বাচিত দুই সংসদ সদস্য শপথ নেবেন না বলে জানানো হয়েছে। এ জোটের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে বিকেলে সাড়ে ৪টায় স্টিয়ারিং কমিটির এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কালো পতাকা প্রদর্শন করা হবে। এ ছাড়া আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের নিয়ে গণশুনানি হবে। গণশুনানির সময় এবং স্থান পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচনের পর এ চা চক্রের আয়োজন, সেখানে আমরা যাব না। গণফোরামের দুই নেতার শপথ নেয়া প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের কেউ শপথ নেবে না। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ এইচ/১৯:৫১/৩১ জানুয়ারি
নদ-নদী নিয়ে কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত: হাইকোর্ট ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা শতশত নদ-নদী অবৈধভাবে দখল এবং সেগুলো উদ্ধারে আইনি লড়াই নিয়ে কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণাকালে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। নদ-নদী দখল নিয়ে আলাদা আলাদা মামলা ও পুনঃদখলের কঠোর সমালোচনা করে হাইকোর্ট আদালত বলেন, দেশে শত শত নদী রয়েছে। এসব নদী দখলকে কেন্দ্র করে পৃথক মামলা ও পৃথক আদেশ হয়। দখলদাররা ফের গিয়ে দখল করে। এমনটি চলতে দেওয়া যায় না। আমরা এসব বিষয়কে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে চাই। নদী নিয়ে এসব কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। আদালত বলেন, এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের একটি রায় ও গাইড লাইনের আলোকে নদী কমিশন গঠিত হয়েছে। আইন তৈরি হয়েছে। আমরা সেটি দেখে আরও কিছু গাইড লাইন দিয়ে রায় দেব। এ জন্য আগামী রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাকি রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেন আদালত। এর আগে, গতকাল বুধবার (৩০ জানুয়ারি) মানুষের মতো নদ-নদীও পাবে আইনি অধিকার; এমন অভিমত দিয়ে রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত। রায়ে তুরাগ নদীকে লিগ্যাল পারসন ঘোষণা করা হয়। এ মামলার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ের আলোকে আইন প্রণেতারা যখন আইন প্রণয়ন করেছেন, তখন নদীরক্ষা কমিশনকে একটি ঠুটো জগন্নাথ হিসেবে তৈরি করেছেন। কমিশন শুধু প্রতিবেদন বা সুপারিশ দিতে পারবে। কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে না। সেই কারণে কমিশনের যে উদ্দেশ্য গঠিত হয়েছে, তা পরিপূর্ণতা পাচ্ছে না। এ কারণে আমরা বার বার আদালতে আসি। আদালত বলেন, আমরা এমন একটি রায় দিতে চাই। যেন অবৈধ দখলমুক্ত করতে বারবার আদালতে আসতে না হয়। এসব বিষয় নিয়ে আদালত দেখছেন অন্য আরও বিষয়ে দেখে রায় দেবেন। যেন একটি গাইড লাইন অন্য একটির সঙ্গে কনফ্লিক্ট তৈরি না হয়। এ সময় আদালত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে মন্তব্য করে আদালত বলেন, সাংবাদিকদের তথ্যবহুল প্রতিবেদনের আলোকেই আমরা সমাজের অনিয়মের কথা জানতে পারি। সাংবাদিকরা বংশিবাদকের মত। নদী দখলসহ সব ধরনের অনিয়মের কথা সাংবাদিকরাই তুলে ধরেন। আমাদের দেশের সাংবাদিকতার অনেক উন্নয়ন দরকার। আদালত যুক্তরাষ্ট্রের রেফারেন্স দিয়ে বলেন, দুই সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে সে দেশের সরকার পতন হয়েছিল। আমাদের দেশেও সেই ধরনের এফেক্টিভ জার্নালিজম হওয়া দরকার। এতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। প্রসঙ্গত, ঢাকার অদূরের তুরাগ নদকে মৃত ঘোষণা সময়ের ব্যাপার-এ ধরনের শিরোনামে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যার সূত্র ধরে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ রিট আবেদন করে। এরপর এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত কয়েকদফা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন এবং রুল জারি করেন। ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত। এমএ/ ০৭:৪৪/ ৩১ জানুয়ারি
Hello, my name is Jack Sparrow. I'm a 50 year old self-employed Pirate from the Caribbean.
Learn More →
0 Comments