ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি- হাইকোর্টে নির্বাচনী ট্রাইবুন্যালে মামলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল মামলা দাখিলের শেষদিন। কিন্তু এ পর্যন্ত বিএনপির মাত্র ৭৪ জন প্রার্থী মামলা দায়ের করেছেন। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনকে বিএনপি ভোট কারচুপির নির্বাচন বলছে এবং বিএনপি দাবি করছে, এই নির্বাচনে জনগন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। জনগনের রায়কে কারচুপি করে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই প্রেক্ষিতে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং ২০ দলের পৃথক পৃথক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে প্রত্যেক প্রার্থী স্ব স্ব ভাবে ট্রাইবুন্যালে মামলা করবেন। নির্বাচনের পর বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নির্বাচনী ট্রাইবুন্যাল গঠিত হয়েছে। কিন্তু গতকাল শেষদিন পর্যন্ত দেখা যায় যে, বিএনপি থেকে মাত্র ৭৪ জন প্রার্থী মামলা করেছেন। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো যে, জামাতের যে ২২জনকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তারা কেউই নির্বাচনী ট্রাইবুন্যালে মামলা করেনি। এমনকি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা যেমন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস প্রমুখরা এই মামলা থেকে দূরে রয়েছেন। স্পষ্টতই বিএনপি মামলা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা মামলা করলেও ২০ দলের যে শরিকদলগুলো আছে। সেই শরিকদলগুলো কেউই মামলা করেনি। কর্ণেল অলি আহমেদ, আন্দালিভ রহমান পার্থর মত ২০ দলের পরিচিত নেতারা কেউই নির্বাচনী ট্রাইবুন্যালে মামলা করেনি। এই মামলা নিয়ে এখন বিএনপিতে নতুন সংকট শুরু হলো বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। এমইউ/১২:৫৫/১৫ ফেব্রুয়ারি

from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2N7RYDv