খুলনা-কলকাতা রুটে চলবে বুলেট ট্রেন
ঢাকা, ০৩ ফেবরুয়ারি- খুলনা থেকে বেনাপোল হয়ে ভারতের কলকাতা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়া, বাগেরহাটে একটি বিমানবন্দর স্থাপন করার পরিকল্পনার কথাও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটিতে আন্তর্জাতিক নৌ ও সমুদ্রবাণিজ্যে সিঙ্গাপুরের বন্দর ব্যবহারের বদলে ভারতের বন্দর ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, এতে বাংলাদেশি আমদানি-রপ্তানিকারকদের খরচ কমবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে দেওয়া প্রতিবেদনে ড. মসিউর রহমান বলেছেন, বাগেরহাটে খানজাহান আলী বিমানবন্দরে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) পদ্ধতিতে বিনিয়োগ হবে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য অধিক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। মোংলা বন্দর কার্যকর করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে পিপিপি পদ্ধতিতে বিনিয়োগ অনুমোদন করেন। ওই সময় বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রস্তাবও অনুমোদন করেন। এ প্রকল্পের কোনো দৃশ্যমান বা ব্যবহার উপযোগী অগ্রগতি হয়নি। চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের মধ্যে পিপিপির চুক্তি নিষ্পন্ন করতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। কলকাতা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালু করতে হলে খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রেল ট্র্যাক উন্নত করতে হবে। এজন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে হবে যোগ করেছেন মসিউর রহমান। সৈয়দপুর বিমানবন্দর নেপাল, ভুটানের পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি অঙ্গরাজ্যের ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন মসিউর। এজন্য চলতি বছরই ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করার কথা বলেছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের বন্দরের বদলে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করলে বাংলাদেশের খরচ কম হবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত নৌ-চলাচল চুক্তি নিয়মিতভাবে নবায়ন হচ্ছে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে কার্যকর রয়েছে; উপকূলীয় নৌ-চলাচল সম্প্রতি শুরু হয়েছে। আমদানি/রপ্তানির জন্য সিঙ্গাপুরের বদলে ভারতের বন্দর ব্যবহার করলে পরিবহন বাবদ ব্যয় কমবে, রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে। প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, আলোচনা দ্রুত এগিয়ে নেওয়া দরকার। জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (ইউএনএসক্যাপ) এর উদ্যোগে ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে বিষয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো বিনিয়োগ সহায়তা পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ রয়েছে, যা ভুটান ও নেপালে সম্প্রসারণ করা যায়। এজন্য বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল এবং বাংলাদেশ-ভুটান-নেপাল আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। ড. মসিউর রহমানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে যৌথ ইশতেহারে এবং ২০১১ সালে সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারকে যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। পরিবহন, ট্রানজিট ও রেল চলাচল খাতে অগ্রগতি হয়েছে। যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি বলেছেন, গঙ্গা বাঁধ (ব্যারেজ) সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে অতি ধীরগতিতে আলোচনা চলছে। যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গে জলবিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব; এ খাতেও সম্ভাবনার তুলনায় অর্জন অতি সামান্য। ভুটান ও নেপালের সঙ্গে আলাদা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে; ভারত নীতিগতভাবে সম্মত, কিন্তু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেনি। উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্রিম-লে গঙ্গা বাঁধ নির্মাণ সম্পর্কে আলোচনায় গতিসঞ্চার ও সম্মত কর্মসূচি গ্রহণে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ও নেপালের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগও গুরুত্ব পেতে পারে, যদিও এ বিষয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও ভারত এখনো সই করেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে শিল্প বিস্তার, কৃষি সম্প্রসারণ, গবাদি পালন, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সবকিছুর জন্যই দরকার মিষ্টি পানি প্রবাহ, সহজলভ্য বিদ্যুৎ সংযোগ ও বৃহত্তর বাজারের সঙ্গে সুগম সংযোগ। উপ-আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রাথমিক সাফল্য হয়তো আশানুরূপ দ্রুত হবে না, তবে শুরু হলে সহযোগিতা গতি পাবে আশা মসিউরের। এমএ/ ০৩ ফেবরুয়ারি
ঢাকা, ০৩ ফেবরুয়ারি- খুলনা থেকে বেনাপোল হয়ে ভারতের কলকাতা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়া, বাগেরহাটে একটি বিমানবন্দর স্থাপন করার পরিকল্পনার কথাও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটিতে আন্তর্জাতিক নৌ ও সমুদ্রবাণিজ্যে সিঙ্গাপুরের বন্দর ব্যবহারের বদলে ভারতের বন্দর ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, এতে বাংলাদেশি আমদানি-রপ্তানিকারকদের খরচ কমবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে দেওয়া প্রতিবেদনে ড. মসিউর রহমান বলেছেন, বাগেরহাটে খানজাহান আলী বিমানবন্দরে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) পদ্ধতিতে বিনিয়োগ হবে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য অধিক জমি অধিগ্রহণ করা হয়। মোংলা বন্দর কার্যকর করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে পিপিপি পদ্ধতিতে বিনিয়োগ অনুমোদন করেন। ওই সময় বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আলোচনা শুরুর প্রস্তাবও অনুমোদন করেন। এ প্রকল্পের কোনো দৃশ্যমান বা ব্যবহার উপযোগী অগ্রগতি হয়নি। চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের মধ্যে পিপিপির চুক্তি নিষ্পন্ন করতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। কলকাতা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালু করতে হলে খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রেল ট্র্যাক উন্নত করতে হবে। এজন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে হবে যোগ করেছেন মসিউর রহমান। সৈয়দপুর বিমানবন্দর নেপাল, ভুটানের পাশাপাশি ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি অঙ্গরাজ্যের ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন মসিউর। এজন্য চলতি বছরই ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করার কথা বলেছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের বন্দরের বদলে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করলে বাংলাদেশের খরচ কম হবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত নৌ-চলাচল চুক্তি নিয়মিতভাবে নবায়ন হচ্ছে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে কার্যকর রয়েছে; উপকূলীয় নৌ-চলাচল সম্প্রতি শুরু হয়েছে। আমদানি/রপ্তানির জন্য সিঙ্গাপুরের বদলে ভারতের বন্দর ব্যবহার করলে পরিবহন বাবদ ব্যয় কমবে, রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে। প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, আলোচনা দ্রুত এগিয়ে নেওয়া দরকার। জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (ইউএনএসক্যাপ) এর উদ্যোগে ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে ও ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে বিষয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো বিনিয়োগ সহায়তা পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ রয়েছে, যা ভুটান ও নেপালে সম্প্রসারণ করা যায়। এজন্য বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল এবং বাংলাদেশ-ভুটান-নেপাল আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। ড. মসিউর রহমানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে যৌথ ইশতেহারে এবং ২০১১ সালে সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারকে যৌথ নদী ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। পরিবহন, ট্রানজিট ও রেল চলাচল খাতে অগ্রগতি হয়েছে। যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার কোনো অগ্রগতি হয়নি। তিনি বলেছেন, গঙ্গা বাঁধ (ব্যারেজ) সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে অতি ধীরগতিতে আলোচনা চলছে। যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গে জলবিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব; এ খাতেও সম্ভাবনার তুলনায় অর্জন অতি সামান্য। ভুটান ও নেপালের সঙ্গে আলাদা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে; ভারত নীতিগতভাবে সম্মত, কিন্তু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেনি। উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্রিম-লে গঙ্গা বাঁধ নির্মাণ সম্পর্কে আলোচনায় গতিসঞ্চার ও সম্মত কর্মসূচি গ্রহণে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত ও নেপালের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগও গুরুত্ব পেতে পারে, যদিও এ বিষয়ে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও ভারত এখনো সই করেনি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে শিল্প বিস্তার, কৃষি সম্প্রসারণ, গবাদি পালন, স্বাস্থ্য ইত্যাদি সবকিছুর জন্যই দরকার মিষ্টি পানি প্রবাহ, সহজলভ্য বিদ্যুৎ সংযোগ ও বৃহত্তর বাজারের সঙ্গে সুগম সংযোগ। উপ-আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রাথমিক সাফল্য হয়তো আশানুরূপ দ্রুত হবে না, তবে শুরু হলে সহযোগিতা গতি পাবে আশা মসিউরের। এমএ/ ০৩ ফেবরুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2MOPdXj
0 Comments