ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি- গণ বিবেচনায় বিগত নির্বাচনে সরকারের পরাজয় ও ঐক্যফ্রন্টের বিজয় সূচিত হয়েছে বলে মনে করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি। শুক্রবার দলের জাতীয় পরিষদের সভার রাজনৈতিক প্রস্তাবে এ কথা বলা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রস্তাবে বলা হয়, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সরকার নিজের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে। গণ বিবেচনায় এ নির্বাচনে সরকারের চরম পরাজয় ও ঐক্যফ্রন্টের বিজয় সূচিত হয়েছে। এবারের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে কোনোভাবেই অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এবারের নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ব্যাপক জনমত প্রমাণ করেছে ঐক্যফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়ে জেএসডি সঠিক কাজ করেছে। বর্তমানে ঐক্যফ্রন্টকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করতে হবে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, সরকারের কর্তাব্যক্তিরা যখন বলছেন, আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনও ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মতো সুষ্ঠু হবে-তা থেকে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, উপনির্বাচন ও উপজেলাসহ সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনেই ভোট ডাকাতি হবে। এমতাবস্থায় জেএসডি আগামী উপজেলা নির্বাচন দলীয়ভাবে বর্জন করবে। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হাকিমসহ অবিলম্বে সব রাজবন্দির মুক্তি এবং সব ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সভায় জেলা-উপজেলা সম্মেলন সমাপ্ত করে যথাসম্ভব স্বল্প সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদের সভায় বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন তালুকদার, খোশ লেহাজ উদ্দিন খোকা, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, গোলাম জিলানী চৌধুরী, এমএ আউয়াল, ওয়ালি আহমেদ পাটোয়ারী, আবদুল জলিল চৌধুরী, সোহরাব হোসেন, সুলতান আহমেদ বাচ্চু, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশারফ হোসেন, আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, আবদুর রাজ্জাক রাজা, মতিয়ার রহমান মতি প্রমুখ। তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ এমইউ/০৫:৫৬/০১ ফেব্রুয়ারি

from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2GfPzoT