চট্টগ্রাম, ০১ ফেব্রুয়ারি- হেফাজতের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শুক্রবার বিকালে হাটহাজারীতে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়ে আল্লামা শফীর সঙ্গে দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকেদের এক প্রশ্নের জবারে সফরটিকে একান্ত ব্যক্তিগত বলে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও নানুপুরের পীর সাহেবের মাহফিলে এসেছিলাম। সেখান থেকে আসার পথে দেশের একজন শ্রদ্ধেয় ও সবচেয়ে সম্মানিত দেশের শীর্ষ আলেম আল্লামা শফীর দোয়া নিতে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় এসেছি। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা হেফাজত আমিরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতে কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামী ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ঢাকার টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুরে জামেয়া ইসলামিয়া ওবায়দিয়া মাদ্রাসার সফর শেষে সড়কযোগে বিকাল সোয়া ৩টায় হাটহাজারী মাদ্রাসায় এসে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটি ছিল তার দ্বিতীয় সফর। এ সময় হেফজত নেতা ও হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা মুফতি জসিম, মাওলানা ইয়াহিয়া ও হেফাজত আমিরের ছেলে মাওলানা আনাস মাদানী তাকে মাদ্রাসায় ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। এরপর মন্ত্রী বিকাল ৩টা ২৩ মিনিটে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে হেফাজত আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার কার্যালয়ে যান এবং মন্ত্রী হেফাজত আমিরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় আমিরের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন মন্ত্রী। এ সময় সাতকানিয়ার এমপি আবু রেজা চৌধুরী নদভী, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, ডিআইজি (ভারপ্রাপ্ত) রোকন উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোহাম্মদ মশিউদ্দৌলা রেজা, হাটহাজারী সর্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম, ইউএনও রুহুল আমিন, হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক শেখ আহমদ, মুফতি জসীমুদ্দীন, মাওলানা ওমর, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা ফোরকান, মাওলানা ইয়াহয়া, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, হেফাজত নেতা মঈনুদ্দিন রুহি, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আবু সাঈদ, হেফাজত আমিরের একান্ত ব্যক্তিগত সচিব মাওলানা শফিউল আলমসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও হেফাজত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে হেফাজত আমিরের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধে হেফাজত আমির নিজেই মোনাজাত পরিচালনা করেন। হেফাজত আমির মুনাজাত শেষ করে তার কার্যালয় সঙ্গে সংযুক্ত বিশ্রামাগারে প্রবেশ করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিনিট চারেক মাদ্রাসার শিক্ষক ও হেফাজত নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফের হেফাজত আমিরের বিশ্রামাগারে প্রবেশ করেন এবং একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় হেফাজত আমির আগামী ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ঢাকার টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে কথা তুলেন এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা কামনা করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এ ছাড়া হেফাজত আমির শনিবার থেকে ইজতেমা ময়দানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়নের দাবি জানালে তাও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেনে নেন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেফাজত ইসলামের এক শীর্ষ নেতা। এদিকে বিকাল ৩টা ৫২ মিনিটে হেফাজত আমিরের কার্যালয় থেকে মন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বের হন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। সূত্র: যুগান্তর আর/০৮:১৪/০১ ফেব্রুয়ারি

from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Ruj6gs