ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি- একাদশ জাতীয় সংসদ নিয়ে বিব্রতবোধ করছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তবে চলমান সংসদকে প্রাণবন্ত করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমরা আনন্দিত। তবে, এই আনন্দের সঙ্গে সঙ্গে আমরা একটু বিব্রতও বটে। আজকে ঢোকার মুখেও (সংসদে প্রবেশের সময়) আমাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। জানতে চেয়েছে আপনাদের সংসদে অবস্থান কী হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার দলের বৈঠকের মধ্যে একটি মন্তব্য করেছেন। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি অত্যন্ত যৌক্তিক। তিনি বলেছেন- এই সংসদে সরকারি দল যেমনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের হবে, তেমনি বিরোধী দলও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের হবে। কিন্তু বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শেষ পর্যন্ত যেটা দাঁড়িয়ে গেছে...। আমাদের বলা হচ্ছে, আপনারা কেন বিরোধী দলে গিয়ে বসছেন না? বিষয়টি নিয়ে তো আমাদের কেউ জিজ্ঞাসা করবে, প্রশ্ন করবে বা আলোচনা করবে- কিন্তু তা হয়নি। মনে হয়, এই সিদ্ধান্ত যেন আমাদের ওপর...। মনে হচ্ছে, সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, সরকারের সব উন্নয়ন কাজের প্রশংসা করব। সঙ্গে সঙ্গে ত্রুটি বিচ্যুতি যা থাকবে- সেটার যদি বিরোধিতার প্রয়োজন হয় তা অবশ্যই করব। আমরা পঞ্চদশ সংশোধনীর দুটি বিষয়ে বিরোধিতা করে নোট অব ডিসেন্টও দিয়েছিলাম- এটা নিশ্চয়ই মনে আছে। কাজেই দেশকে উন্নয়নমূলক কাজ ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে নেয়ার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রতি আমাদের যেমন সমর্থন থাকবে তেমনি সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতি, বৈষম্যের প্রশ্নে কোনো ব্যত্যয় হলে বা সরকারি কাজে কোনো বিরোধিতার বিষয় থাকলে অবশ্যই তা আমরা করব। জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে এখানে বসছেন, অবশ্যই শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে তারা অংশগ্রহণ করবেন। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে স্পিকারের সুদৃষ্টি বিশেষ প্রয়োজন,- বলেন মেনন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে পরাজিতরা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বীজবপনের অপচেষ্টা করছে। এই অবস্থায় একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু হলো। স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিগত সময়ের সফলতার ওপর দাঁড়িয়ে ভবিষ্যত পাঁচটি বছর আপনি আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। দক্ষতা নিরপেক্ষ ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিগত দিনে সংসদ পরিচালনা করেছেন। আগামী দিনে বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক, নিরাপদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পথে নিয়ে যেতে এই সংসদের নেতৃত্ব আপনাকে দিতে হবে। সংসদকে প্রাণবন্ত, জীবন্ত ও সক্রিয় করতে আমরা চেষ্টা করব। ভবিষ্যতের জন্য সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার জন্য আমাদের তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলো হলো- বৈষম্য, দুর্নীতি আর সুশাসন। এই চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আমাদের সামনের যাত্রা শুরু হয়েছে,- বলেন ইনু। এমএ/ ১১:৩৩/ ৩০ জানুয়ারি

from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2Gged8C