ঢাকা, ০২ ফেব্রুয়ারি- মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার। মেলার প্রথম দিনেই দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। তবে লেখক-পাঠকদের উপস্থিতিতে প্রথম দিনেই প্রাণবন্ত মেলার শ্রী নষ্ট করেছে ধুলা। গতকাল মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় আগত দর্শনার্থীরা মুখে মাস্ক ও রুমাল বেঁধেও ধুলা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। মানুষের অতিরিক্ত ভিড়ে মেলাপ্রাঙ্গণে ছিটানো বালু উড়ছে বাতাসে। আগ থেকে পানি না ছিটানোয় এমন হয়েছে বলে মনে করছেন দর্শরার্থী ও প্রকাশনাগুলো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মতিউর রহমান বলেন, মেলার অতিরিক্ত ধুলাবালিতে নিশ্বাস নেয়ায় দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আয়োজকরা একটু পানি ছিটিয়ে রাখলে এমন হতো না। আজিজুন্নাহার নামে একজন বলেন, মেলায় প্রচুর ধুলা। এমন জানলে আসতাম না। এমন ধুলায় সর্দি-কাশি হতে বাধ্য। আয়োজকরা পরিমাণমতো পানি ছিটালে এ চিত্র থাকবে না। আশাকরি তারা বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন। জানতে চাইলে বইমেলার সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বলেন, শুক্রবার প্রথম দিনে মানুষের ভিড় বেশি হওয়ায় ধুলা উড়ছে। আমরা শনিবার (আজ) থেকে সকাল-বিকাল পানি ছিটাবো। আশাকরি শনিবার থেকে দর্শনার্থীদের এমন বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না। এর আগে এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ এর উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্থানের পর মেলাপ্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এ বছর মেলাকে অনেক খোলামেলাভাবে সাজানো হয়েছে। মেলার খোলামেলা বিন্যাসে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দর্শনার্থীরা। এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬২০টি ইউনিটসহ মোট ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৮০টি লিটলম্যাগকে ১৫৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৫টি স্টলে ২টি করে লিটল ম্যাগাজিনকে স্থান দেয়া হয়েছে। স্টল পেয়েছে অন্য ১৩০টি প্রতিষ্ঠান। এদিকে ছুটির দিন হওয়ায় আজ থাকছে শিশুরা প্রহর। আজ মেলার আসর বসবে সকাল ১১টায়। শিশু প্রহর চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এরপর বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে মেলার দ্বিতীয় পর্ব। তবে শুক্র এবং শনিবার বাদে অন্যান্য দিন মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টা থেকে। উন্মুক্ত থাকবে রাত ৯টা পর্যন্ত। গতবারের ন্যয় এবারও মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে শিশু কর্নার রয়েছে। এই কর্নারে শিশুদের চিত্ত-বিনোদনের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। সেখানে শিশুবিষয়ক লেখকরাও কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে আড্ডা দেবেন। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/০৮:১৪/০২ ফেব্রুয়ারি

from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://bit.ly/2BqfOpx