Showing posts from January, 2019Show all
বাজেটে মোদী সরকারের বড় ঘোষণা, আয়করের ঊর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা
বাজেটে মোদী সরকারের বড় ঘোষণা, আয়করের ঊর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা
সল্টলেকে বড়সড় ডাকাতির ছক, বানচাল পুলিসি তত্পরতায়
বাজেটে মোদী সরকারের বড় ঘোষণা, আয়করের ঊর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা
সল্টলেকে বড়সড় ডাকাতির ছক, বানচাল পুলিসি তত্পরতায়
আপেল ভালবাসেন? এই বিষয়টি না জানলে মৃত্যুও হতে পারে!
তবে এই উপকারী ফলের কয়েকটি ক্ষতিকর দিকও রয়েছে, যা আপনার স্বাস্থ্যহানি, এমনকি মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে!
আপেল ভালবাসেন? এই বিষয়টি না জানলে মৃত্যুও হতে পারে!
তবে এই উপকারী ফলের কয়েকটি ক্ষতিকর দিকও রয়েছে, যা আপনার স্বাস্থ্যহানি, এমনকি মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে!
আপেল ভালবাসেন? এই বিষয়গুলি না জানলে মৃত্যুও হতে পারে!
তবে এই উপকারী ফলের কয়েকটি ক্ষতিকর দিকও রয়েছে, যা আপনার স্বাস্থ্যহানি, এমনকি মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে!
'স্যালাইনের চ্যানেল থেকে সংক্রমণে রোগীমৃত্যু', অভিযোগে ভাঙচুর নার্সিংহোমে
কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বছরে ৬,০০০ টাকা, ঘোষণা পীযূষের
কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বছরে ৬,০০০ টাকা, ঘোষণা পীযূষের
কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বছরে ৬,০০০ টাকা, ঘোষণা পীযূষের
আগ্নেয়াস্ত্র সহ বাড়ি থেকে গ্রেফতার 'বিধায়ক ঘনিষ্ঠ' ব্যক্তি
আগ্নেয়াস্ত্র সহ বাড়ি থেকে গ্রেফতার 'বিধায়ক ঘনিষ্ঠ' ব্যক্তি
আগ্নেয়াস্ত্র সহ বাড়ি থেকে গ্রেফতার 'বিধায়ক ঘনিষ্ঠ' ব্যক্তি
বুদ্ধের ব্রিগেড বার্তা: তৃণমূলের বিকল্প বামপন্থীরাই,ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী বিজেপি নয়
২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, জানাল আইসিসি
২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, জানাল আইসিসি
প্রেমিকের সঙ্গে মনোমানিল্য, ঘরে বিএড কলেজের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ
২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, জানাল আইসিসি
২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, জানাল আইসিসি
সেনেগালে গ্রেফতার ডন রবি পূজারি
২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ভারত থেকে সরে যাওয়ার সম্ভবনা কম, জানাল আইসিসি
সিলিং ফ্যানে ঝুলছে ছাত্রী, হাতে কনুইয়ের নীচে লেখা সাতটি ‘A’
General Budget 2019 LIVE: সংসদে পৌঁছল বাজেট পেপার, ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার সূচক
General Budget 2019 LIVE: সংসদে পৌঁছল বাজেট পেপার, ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার সূচক
এই সব কারণে দূষিত হয় রক্ত, বাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি
রক্তে দূষিত হয়ে পড়লে তা থেকে সামান্য অসুস্থতা থেকে শুরু করে হৃদরোগ, চর্মরোগ এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
এই সব কারণে দূষিত হয় রক্ত, বাড়ে মৃত্যুর ঝুঁকি
রক্তে দূষিত হয়ে পড়লে তা থেকে সামান্য অসুস্থতা থেকে শুরু করে হৃদরোগ, চর্মরোগ এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
LIVE সংসদে পৌঁছল বাজেট পেপার, ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার সূচক
ঘুমপাড়ানি গুলি নাকি গ্রামবাসীদের বেধড়ক মার? চিতাবাঘের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বাংলাদেশের মামলা
নিউ ইয়র্ক, ৩১ জানুয়ারি- রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরত আনতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ মামলায় ফিলিপাইনের ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনকে (আরসিবিসি) আসামি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান। এর আগে গত বুধবার মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরও সাংবাদিকদের মামলা করার কথা জানিয়েছিলেন। ফজলে কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনার পাশাপাশি দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা এই মামলার উদ্দেশ্য। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) থাকা বাংলাদেশের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে এই অর্থ ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়েছিল। এই অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপাইনে চলে যায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর মধ্যে এখনো ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার ফেরত আসেনি। এই অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করা হয়েছে। এজন্য দেশটিতে দুটি লফার্মকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের ফি নিয়ে একটি চুক্তিও করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, চুরি যাওয়া ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার উদ্ধার করে দিতে পারলে লফার্ম দুটিকে সেই অর্থের ১০ ভাগ দেয়া হবে। জানা যায়, হ্যাকাররা চুরির অর্থ ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে। সেখান থেকে ওই অর্থ ফিলিপাইনের মুদ্রা পেসোতে রূপান্তরের পর দুটি ক্যাসিনোতে পাঠানো হয়। রিজার্ভ চুরির এই ঘটনায় দোষী প্রমাণ হওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি আরসিবিসির সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোকে সাজা দেন ফিলিপাইনের আদালত। এ ছাড়া তাকে সর্বমোট ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়।
ঘুমপাড়ানি গুলি নাকি গ্রামবাসীদের বেধড়ক মার? চিতাবাঘের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বাংলাদেশের মামলা
নিউ ইয়র্ক, ৩১ জানুয়ারি- রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরত আনতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ মামলায় ফিলিপাইনের ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনকে (আরসিবিসি) আসামি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান। এর আগে গত বুধবার মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরও সাংবাদিকদের মামলা করার কথা জানিয়েছিলেন। ফজলে কবির বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনার পাশাপাশি দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা এই মামলার উদ্দেশ্য। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) থাকা বাংলাদেশের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকিং লেনদেনের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে এই অর্থ ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার দুটি ব্যাংকে সরানো হয়েছিল। এই অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপাইনে চলে যায় ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর মধ্যে এখনো ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার ফেরত আসেনি। এই অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করা হয়েছে। এজন্য দেশটিতে দুটি লফার্মকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের ফি নিয়ে একটি চুক্তিও করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, চুরি যাওয়া ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার উদ্ধার করে দিতে পারলে লফার্ম দুটিকে সেই অর্থের ১০ ভাগ দেয়া হবে। জানা যায়, হ্যাকাররা চুরির অর্থ ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার চারটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে। সেখান থেকে ওই অর্থ ফিলিপাইনের মুদ্রা পেসোতে রূপান্তরের পর দুটি ক্যাসিনোতে পাঠানো হয়। রিজার্ভ চুরির এই ঘটনায় দোষী প্রমাণ হওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি আরসিবিসির সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতোকে সাজা দেন ফিলিপাইনের আদালত। এ ছাড়া তাকে সর্বমোট ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়।
লটারি প্রতারণায় আরও জোরালো দাউদ-যোগ, কলকাতার টাকা পাকিস্তানে পাঠাত ডি কোম্পানি
লটারি প্রতারণায় আরও জোরালো দাউদ-যোগ, কলকাতার টাকা পাকিস্তানে পাঠাত ডি কোম্পানি
লটারি প্রতারণায় আরও জোরালো দাউদ-যোগ, কলকাতার টাকা পাকিস্তানে পাঠাত ডি কোম্পানি
লটারি প্রতারণায় আরও জোরালো দাউদ-যোগ, কলকাতার টাকা পাকিস্তানে পাঠাত ডি কোম্পানি
লটারি প্রতারণায় আরও জোরালো দাউদ-যোগ, কলকাতার টাকা পাকিস্তানে পাঠাত ডি কোম্পানি
ক্যাব চালকের কাছে হেনস্থার শিকার পর্বতারোহী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত
ক্যাব চালকের কাছে হেনস্থার শিকার পর্বতারোহী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত
সেন্ট পলসের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
সেন্ট পলসের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
মালদা, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুরের SP-দের তিরস্কার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের
রেসকিউ সেন্টারে পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘের ‘রহস্যমৃত্যু’
পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনার গুলিতে খতম ২ জঙ্গি
পুলওয়ামায় ভারতীয় সেনার গুলিতে খতম ২ জঙ্গি
কমবে আয়করের বোঝা? আজ বাজেটে আদৌ কি হবে প্রত্যাশা পূরণ?
পরিসর বেড়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার
ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি- অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯ এ বেড়েছে পরিসর। একইসঙ্গে বেড়েছে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতবার ২ লাখ ৭৫ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে গ্রন্থমেলা আয়োজন হলেও এবার তা বিস্তৃত হয়েছে ৩ লাখ বর্গফুটে। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এবার ৪৯৯টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে; গতবার যার সংখ্যা ছিল ৪৬৫টি। ছুটির দিন ছাড়া গ্রন্থমেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু, ভারতীয় কবি শঙ্খ ঘোষ, মিশরীয় লেখক-গবেষক মোহসেন আল আরিশি। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী। এমএ/ ০১:২২/ ০১ ফেব্রুয়ারি
বড় স্যাররা ঘুষ না খেলে ছোট স্যাররাও খেতে পারবেন না
কুমিল্লা, ০১ ফেব্রুয়ারি- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, অফিসের বড় স্যাররা যদি ঘুষ খাওয়া থেকে দূরে থাকেন ও দুর্নীতিমুক্ত থাকেন, তাহলে ছোট সাহেবরা ঘুষ খেতে পারবেন না। প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে পানি সবসময় উপর থেকে নিচে নামে, নিচ থেকে নয়। এ প্রক্রিয়া চললে দেশও দুর্নীতিমুক্ত হবে। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) ময়নামতি মিলয়াতনে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা পৌঁছে দেওয়ায় কর্মপন্থা কর্মশালায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের অভাব দূর হবে, তবে এটা পরিকল্পিতভাবে হলে এর সুফল আমরা ভোগ করতে পারবো। সত্যিকার অর্থে এটাই হবে আমাদের অর্জন। মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য ও দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে সমুদ্রের মধ্যে বালি দিয়ে ঘিরে আমাকে আমি নিরাপদ রাখতে পারবো না। দারিদ্র্যতা আমাদের চলে যাবে হয়তো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু সেটা পরিকল্পিতভাবে গেলে আমরা সেটার ভালো ফল উপভোগ করতে পারবো। এই দেশটাকে ঠিক রাখতে পারলে সবাই ভালো থাকতে পারবো। আর যদি না পারি, আমি একা ভালো থাকার কোনো স্বার্থকতা নেই। তিনি আরও বলেন, একসময় আমাদের দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এদেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা খাদ্যের জন্য বিদেশে গিয়ে সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি। খাদ্য উন্নয়নে আমাদের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। গরিব ও দারিদ্র্যসীমার মানুষগুলোকে আধুনিক নগরায়ণের মাধ্যমে দারিদ্র্যমুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশকে একটি সুন্দর দেশে রূপান্তর করতে হলে আমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার, বার্ডর মহাপরিচালক ড. এম মিজানুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক আবদুল কাদের। এমএ/ ০১:০০/ ০১ ফেব্রুয়ারি
অভিজিৎ হত্যা: ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত
ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি- মুক্তমনা ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করেছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট- সিটিটিসি। সাত জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট প্রস্তুত করা হলেও এই হত্যার বিভিন্ন পর্যায়ে ১১ জন জড়িত ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এর বাইরে একজনের বিরুদ্ধে হত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অভিজিৎ হত্যায় জড়িত একজন দুই বছর আগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। জড়িত আরও তিন জনের সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেলেও তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সময়ে এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে ৮ জনের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, এদের মধ্যে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছিল এলিট ফোর্স র্যাব। কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম- সিটিটিসির উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। আনসার আল ইসলামের সদস্যরা এই হত্যার ঘটনায় জড়িত। হত্যাকাণ্ডে ১০-১২ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এদের বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে শিগগিরই আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে। বাকিদের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেলেও তাদের নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির একুশে গ্রন্থমেলা থেকে বাসায় ফেরার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পাশের ফুটপাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায়কে। এসময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও আহত হন। ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, অভিজিৎ হত্যা ঘটনায় এপর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলো শফিউল ইসলাম ফারাবী, আবুল বাশার, জুলহাজ বিশ্বাস, জাফরান আল হাসান, তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলী মিঠু, আমিনুল মল্লিক, আরাফাত হোসেন, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, ইয়াসিন ও মান্নান রাহী ওরফে ইয়াহিয়া। এর বাইরে একজন গ্রেফতারের সময় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। তদন্তে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে ফারাবী, আরাফাত, সোহেল ও সায়মনের সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। আরাফাত, সোহেল ও সায়মন নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, অভিজিৎ রায় হত্যার মূল পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেছিল সেনাবাহিনী থেকে বহিস্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক থেকে আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে জিয়া নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের তদারক করেছিলেন বলে আরাফাত, সোহেল ও সায়মনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। জিয়াসহ এই চারজন ছাড়াও এই হত্যায় আরও ৭ জন সরাসরি অংশ নেয়। তারা হলো মুকুল রানা, সেলিম ওরফে হাদী, আকরাম হোসেন, হাসান, অন্তু, আলী ও অনিক। সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, তারা সাত জনকে আসামি করে চার্জশিট তৈরি করেছেন। এদের মধ্যে ফারাবী, আরাফাত, সোহেল, সায়মন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। বাকিদের মধ্যে জিয়া, আকরাম ও হাসান এখনও পলাতক। পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা না পাওয়ায় সেলিম, অন্তু, আলী ও অনিককে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গিদের বেশিরভাগই সাংগঠনিক নাম নিয়ে চলাফেরা করে। তাদের আসল-পরিচয় জানতে পারলে পরবর্তীতে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হবে। কাউন্টার টেরোরিজমের কর্মকর্তারা বলছেন, মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগ। ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে সিটিটিসি এই মামলার তদন্ত শুরু করে। অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর র্যাব ২০১৫ সালের ৩ মার্চ সর্বপ্রথম শফিউর রহমান ফারাবী নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করে। ফারাবী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অভিজিৎকে হত্যার বিষয়ে একাধিক স্ট্যাটাস দিয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডে ফারাবীকে প্ররোচণাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার ফকিরাপুল এলাকা থেকে মোহাম্মদ আবুল বাশার, জুলহাজ বিশ্বাস ও জাফরান আল হাসানকে গ্রেফতার করে র্যাব। এর আগে ওই বছরের ১৭ আগস্ট তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলী মিঠু ও আমিনুল মল্লিককে গ্রেফতারের পর তাদের সবাইকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। কিন্তু মামলার তদন্তে ফারাবী ছাড়া বাকি ছয় জনের কারও বিরুদ্ধেই অভিজিৎ হত্যায় অংশ নেওয়ার কোনও তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা অবস্থাতেই অসুস্থতাজনিত কারণে আবুল বাশার মারা যায়। সিলেটের ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস হত্যায় গ্রেফতার হওয়া মান্নান রাহী ওরফে ইয়াহিয়াকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল, তার বিরুদ্ধেও অভিজিৎ হত্যায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যদিও অসুস্থতাজনিত কারণে কারাগারেই মৃত্যু হয়েছে তারও। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, অভিজিৎ হত্যার তদন্ত ও বইমেলার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত সন্দেহে ছয় জনকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। এদের একজন শরিফুল ইসলাম ওরফে মুকুল রানা ২০১৬ সালের ১৯ জুন ভোরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়ার বাঁশপট্টিতে ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, মুকুল রানা আনসার আল ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছিল। নিহত মুকুল অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল। পরবর্তীতে ২০১৭ নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে সিটিটিসির কর্মকর্তারা আরাফাত হোসেন, আবু সিদ্দিক সোহেল ও মোজাম্মেল হোসেন সায়মন নামে আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে আরাফাত সরাসরি হামলায় অংশ নিয়েছিল এবং সোহেল ও সায়মন ইন্টেল শাখার সদস্য হিসেবে রেকি করা ছাড়াও হত্যার সময় ব্যাক-আপ টিমের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিল। তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিল জিয়া। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রেফতার হওয়া আরাফাত তাদের জানিয়েছে, অন্তু ও আলী অভিজিৎকে কুপিয়েছিল। অন্যদের সঙ্গে অনিক ও হাসান তাদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিল। কিন্তু অন্তু, আলী ও অনিকের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। এগুলো তাদের সাংগঠনিক নাম। সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া আসাদুল্লাহ নামে এক আনসার আল ইসলাম সদস্যের কাছ থেকে হাসানের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া গেছে। একারণে হাসানের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই শেষে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এটি সম্পন্ন হলেই আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে। জানতে চাইলে অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায় বলেন, পুলিশ চার্জশিট দিচ্ছে এটি একটি ভালো খবর। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি চার্জশিট শেষে মামলাটির যাতে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি হয়ে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়। অজয় রায় বলেন, আমার বয়স হয়েছে। শরীরে নানা অসুখ দানা বেঁধেছে। আমি চাই, আমি যেন জীবিত অবস্থাতেই আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচারটা দেখে যেতে পারি। এইটুকুই আমার চাওয়া। এমএ/ ০০:৫৫/ ০১ ফেব্রুয়ারি
১০১ উপজেলায় ভোট ১০ মার্চ, ৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল
ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি- আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১০ মার্চ ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দেশের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে এবার পাঁচ ধাপে ভোট হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১০১টিতে ভোট হবে। উপজেলাগুলোর নামসহ চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন শেষে ৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। মার্চেই চার ধাপের ভোট হবে। রমজানের পর শেষ ধাপের ভোট হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম ধাপে যে ১০১ উপজেলায় ভোট হবে সেগুলো হচ্ছে- রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার সদর, আটোয়ারি, বোদা, দেবীগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া; দিনাজপুর সদর, জেলার বীরগঞ্জ, কাহারোল, বিরল, বোচাগঞ্জ, খানসামা, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট; নীলফামারী জেলার সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ; কুড়িগ্রাম সদর, জেলার ভুরুঙ্গমারী, ফুলবাড়ী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট, রাজিবপুর, চিলমারী ও রৌমারী। ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার সদর, সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ; নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা, দুর্গাপুর, খালিয়াজুরী, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, মদন, মোহনগঞ্জ, পূর্বধলা ও নেত্রকোনা সদর। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর, জামালগঞ্জ, শাল্লা, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও জগন্নাথপুর; হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল, মাধবপুর, চুনারঘাট, হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই। রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী কাজিপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তাড়াশ ও উল্লাপাড়া; জয়পুরহাট জেলার সদর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, কালায় ও ক্ষেতলাল। চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলার সদর, বাঘায়ছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল, জুড়াছড়ি, কাউয়াখালী, কাপ্তাই, রাজাস্থলী ও বিলাইছড়ি; বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা, আলিকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি; খাগড়াছড়ি জেলার সদর, মহালছড়ি, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও দীঘিনালা এবং কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভোট হবে। এর সঙ্গে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়েছে এমন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন ও ১০ মার্চ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্তত অর্ধ শতাধিক পদত্যাগ অথবা মৃতজনিত কারণে উপনির্বাচন করতে হবে। এ বিষয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জানা যায়, আট বিভাগের উপজেলাগুলোকে চার দিনে চার ধাপে ভোট করা হবে। বাকিগুলো কবে মেয়াদোত্তীর্ণ হচ্ছে তা বিবেচনায় নিয়ে আরেকটি ধাপে রমজানের পর ভোট শেষ করা হবে। সেক্ষেত্রে ৫ ধাপে ভোট করা হচ্ছে। এবার উপজেলা ভোটেও ব্যবহার হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন। জেলার সদর উপজেলায় পুরোপুরি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এদিকে সংসদ নির্বাচনের পর দলীয় প্রতীকে উপজেলা ভোটে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও ঘোষণা আসে নি। এরই মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে সংসদের ফল প্রত্যাখ্যানের পর দলটি উপজেলায় অংশ নেবে না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগামী মে মাসের মধ্যে উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের ভোটে কে এলো কে এলো না তা ইসির বিবেচ্য বিষয় নয়। জানা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৯২টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮০টিতে এবার ভোট হবে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে ১২টি উপজেলায় এ বছর ভোট হবে না। সর্বশেষ ২০১৪ সালের মার্চ-মে মাসে ছয় ধাপে এর অধিকাংশগুলোতে ভোট হয়েছিল। আইনে মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় এই নির্বাচন করতে হচ্ছে। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে এক দিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে ছয় ধাপে ভোট করেছিল তৎকালীন ইসি। এমএ/ ০০:৫৪/ ০১ ফেব্রুয়ারি
১০১ উপজেলায় ভোট ১০ মার্চ, ৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল
ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি- আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১০ মার্চ ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দেশের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে এবার পাঁচ ধাপে ভোট হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১০১টিতে ভোট হবে। উপজেলাগুলোর নামসহ চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন শেষে ৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। মার্চেই চার ধাপের ভোট হবে। রমজানের পর শেষ ধাপের ভোট হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম ধাপে যে ১০১ উপজেলায় ভোট হবে সেগুলো হচ্ছে- রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার সদর, আটোয়ারি, বোদা, দেবীগঞ্জ ও তেঁতুলিয়া; দিনাজপুর সদর, জেলার বীরগঞ্জ, কাহারোল, বিরল, বোচাগঞ্জ, খানসামা, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট; নীলফামারী জেলার সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ; কুড়িগ্রাম সদর, জেলার ভুরুঙ্গমারী, ফুলবাড়ী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট, রাজিবপুর, চিলমারী ও রৌমারী। ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলার সদর, সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, ইসলামপুর, বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ; নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা, দুর্গাপুর, খালিয়াজুরী, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, মদন, মোহনগঞ্জ, পূর্বধলা ও নেত্রকোনা সদর। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর, জামালগঞ্জ, শাল্লা, ধর্মপাশা, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও জগন্নাথপুর; হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল, মাধবপুর, চুনারঘাট, হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও লাখাই। রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী কাজিপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, তাড়াশ ও উল্লাপাড়া; জয়পুরহাট জেলার সদর, পাঁচবিবি, আক্কেলপুর, কালায় ও ক্ষেতলাল। চট্টগ্রাম বিভাগের রাঙ্গামাটি জেলার সদর, বাঘায়ছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, বরকল, জুড়াছড়ি, কাউয়াখালী, কাপ্তাই, রাজাস্থলী ও বিলাইছড়ি; বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা, আলিকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি; খাগড়াছড়ি জেলার সদর, মহালছড়ি, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও দীঘিনালা এবং কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভোট হবে। এর সঙ্গে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়েছে এমন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন ও ১০ মার্চ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্তত অর্ধ শতাধিক পদত্যাগ অথবা মৃতজনিত কারণে উপনির্বাচন করতে হবে। এ বিষয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। জানা যায়, আট বিভাগের উপজেলাগুলোকে চার দিনে চার ধাপে ভোট করা হবে। বাকিগুলো কবে মেয়াদোত্তীর্ণ হচ্ছে তা বিবেচনায় নিয়ে আরেকটি ধাপে রমজানের পর ভোট শেষ করা হবে। সেক্ষেত্রে ৫ ধাপে ভোট করা হচ্ছে। এবার উপজেলা ভোটেও ব্যবহার হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন। জেলার সদর উপজেলায় পুরোপুরি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এদিকে সংসদ নির্বাচনের পর দলীয় প্রতীকে উপজেলা ভোটে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও ঘোষণা আসে নি। এরই মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে সংসদের ফল প্রত্যাখ্যানের পর দলটি উপজেলায় অংশ নেবে না। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগামী মে মাসের মধ্যে উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের ভোটে কে এলো কে এলো না তা ইসির বিবেচ্য বিষয় নয়। জানা যায়, বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৯২টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮০টিতে এবার ভোট হবে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে ১২টি উপজেলায় এ বছর ভোট হবে না। সর্বশেষ ২০১৪ সালের মার্চ-মে মাসে ছয় ধাপে এর অধিকাংশগুলোতে ভোট হয়েছিল। আইনে মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় এই নির্বাচন করতে হচ্ছে। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে এক দিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে ছয় ধাপে ভোট করেছিল তৎকালীন ইসি। এমএ/ ০০:৫৪/ ০১ ফেব্রুয়ারি
নামেই বাজেট, লোকসভা ভোটের আগে আজ অগ্নিপরীক্ষা নরেন্দ্র মোদীর
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি- বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান। প্রায় ১০ বছর পর এই কমিটি গঠন করা হল বলে জানা যায়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আপাতত জমিরউদ্দিন সরকারকে প্রধান করে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। তিনি আহ্বায়ক কমিটিতে আরও সদস্য যুক্ত করবেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কয়েকজন সদস্য জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তবে ফোরামের ১০ বছরের প্রলম্বিত কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বৈঠকে অংশ নেননি। এমএ/ ০০:২২/ ০১ ফেব্রুয়ারি
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি- বিএনপির জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই কমিটি গঠন করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান। প্রায় ১০ বছর পর এই কমিটি গঠন করা হল বলে জানা যায়। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, আপাতত জমিরউদ্দিন সরকারকে প্রধান করে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। তিনি আহ্বায়ক কমিটিতে আরও সদস্য যুক্ত করবেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কয়েকজন সদস্য জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তবে ফোরামের ১০ বছরের প্রলম্বিত কমিটির মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বৈঠকে অংশ নেননি। এমএ/ ০০:২২/ ০১ ফেব্রুয়ারি
এডিবির ঋণ গ্রহণে শীর্ষে বাংলাদেশ : পরিকল্পনামন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৪৮টি সদস্য দেশের মধ্যে ঋণ গ্রহণের তালিকায় শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশ। এডিবির কাছ থেকে ভারতও বাংলাদেশের চেয়ে কম ঋণ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। এম এ মান্নান বলেন, এ মুহূর্তে এডিবি ৪৮টি সদস্য রাষ্ট্রকে ঋণ দেয়। ঋণগৃহিতা দেশগুলোর মধ্যে আমরা এখন এক নম্বরে। আপনারা ভালোভাবে দেখেন না, খারাপভাবে দেখেন, সেটা অন্য দিক। কিন্তু আমরা গ্রহণ করতে পারছি, এবজর্ব (ধারণ) করতে পারছি। বাংলাদেশ এ বছরই ঋণগ্রহণে প্রথম হয়েছে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছরই প্রথম হলাম আমরা। ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ইন্ডিয়া বোধহয় ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। অনেক পার্থক্য। আমার মনে হয়, এটা দেখার বিষয় আছে গভীরে গিয়ে। বাংলাদেশের ঋণ গৃহণের মান ভালো বলে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ জানিয়েছেন বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, তিনি (মনমোহন প্রকাশ) আমাকে বললেন, আপনাদের ঋণগ্রহণের মান অত্যন্ত ভালো। আমরা ভালো কাজে লাগাচ্ছি এবং গতিটা বৃদ্ধি করতে পারলে আরও হতে পারত। এডিবি থেকে আমরা এখন ভারতের চেয়েও বেশি ঋণ নিচ্ছি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উনি আমাকে বলেছেন, আপনারা যে ঋণ নিয়েছেন, তা খুবই ভালো। আপনারা যদি প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারেন, যে লাভ হওয়ার কথা সেটা আপনারা পাবেন। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টরের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন এম এ মান্নান। এডিবি বিনিয়োগ বাড়াবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এডিবি বিনিয়োগ বাড়াবে কি না, তা আমাদের ওপর নির্ভর করছে। তাদের কাছে এত টাকা আছে, তারা টাকা নিয়ে বসে আছে। ভালো প্রকল্প নিয়ে আসলে, যত টাকা লাগে পাওয়া যাবে। তবে নিলেই তো হবে না, বাস্তবায়ন তো করতে হবে। আমরা টাকা কমিউট করেছি ১০০ টাকা, কিন্তু ছেড়েছি মাত্র ২০ টাকা। কেন ২০ টাকা ছাড়ছি, ৮০ টাকা ছাড়ছি না, কারণ জানতে হবে। কারণ, প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কম। এডিবির কাছ থেকে বাংলাদেশ ঋণ নিচ্ছে, বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে এম এ মান্নান বলেন, দাতা সংস্থা বলে কিছু নাই কিন্তু। এরা সবাই ঋণ সহযোগী, ঋণ দেয়। সবাই আমাদের মনে করেন, আমরা একটা উদীয়মান প্রবৃদ্ধির দেশ। তবে আমাদের কাজের পদ্ধতি সময়োপযোগী তো নয়ই, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিরক্তিকরভাবে স্লো (ধীরগতির)। এটা বাড়াতে হবে। সূত্র: জাগোনিউজ এমএ/ ১১:৪৪/ ৩১ জানুয়ারি
এডিবির ঋণ গ্রহণে শীর্ষে বাংলাদেশ : পরিকল্পনামন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ৪৮টি সদস্য দেশের মধ্যে ঋণ গ্রহণের তালিকায় শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশ। এডিবির কাছ থেকে ভারতও বাংলাদেশের চেয়ে কম ঋণ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এর আগে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ। এম এ মান্নান বলেন, এ মুহূর্তে এডিবি ৪৮টি সদস্য রাষ্ট্রকে ঋণ দেয়। ঋণগৃহিতা দেশগুলোর মধ্যে আমরা এখন এক নম্বরে। আপনারা ভালোভাবে দেখেন না, খারাপভাবে দেখেন, সেটা অন্য দিক। কিন্তু আমরা গ্রহণ করতে পারছি, এবজর্ব (ধারণ) করতে পারছি। বাংলাদেশ এ বছরই ঋণগ্রহণে প্রথম হয়েছে বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বছরই প্রথম হলাম আমরা। ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ইন্ডিয়া বোধহয় ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। অনেক পার্থক্য। আমার মনে হয়, এটা দেখার বিষয় আছে গভীরে গিয়ে। বাংলাদেশের ঋণ গৃহণের মান ভালো বলে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ জানিয়েছেন বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, তিনি (মনমোহন প্রকাশ) আমাকে বললেন, আপনাদের ঋণগ্রহণের মান অত্যন্ত ভালো। আমরা ভালো কাজে লাগাচ্ছি এবং গতিটা বৃদ্ধি করতে পারলে আরও হতে পারত। এডিবি থেকে আমরা এখন ভারতের চেয়েও বেশি ঋণ নিচ্ছি। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, উনি আমাকে বলেছেন, আপনারা যে ঋণ নিয়েছেন, তা খুবই ভালো। আপনারা যদি প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারেন, যে লাভ হওয়ার কথা সেটা আপনারা পাবেন। এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টরের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন এম এ মান্নান। এডিবি বিনিয়োগ বাড়াবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এডিবি বিনিয়োগ বাড়াবে কি না, তা আমাদের ওপর নির্ভর করছে। তাদের কাছে এত টাকা আছে, তারা টাকা নিয়ে বসে আছে। ভালো প্রকল্প নিয়ে আসলে, যত টাকা লাগে পাওয়া যাবে। তবে নিলেই তো হবে না, বাস্তবায়ন তো করতে হবে। আমরা টাকা কমিউট করেছি ১০০ টাকা, কিন্তু ছেড়েছি মাত্র ২০ টাকা। কেন ২০ টাকা ছাড়ছি, ৮০ টাকা ছাড়ছি না, কারণ জানতে হবে। কারণ, প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কম। এডিবির কাছ থেকে বাংলাদেশ ঋণ নিচ্ছে, বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে এম এ মান্নান বলেন, দাতা সংস্থা বলে কিছু নাই কিন্তু। এরা সবাই ঋণ সহযোগী, ঋণ দেয়। সবাই আমাদের মনে করেন, আমরা একটা উদীয়মান প্রবৃদ্ধির দেশ। তবে আমাদের কাজের পদ্ধতি সময়োপযোগী তো নয়ই, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিরক্তিকরভাবে স্লো (ধীরগতির)। এটা বাড়াতে হবে। সূত্র: জাগোনিউজ এমএ/ ১১:৪৪/ ৩১ জানুয়ারি
সবরীমালা রায়ে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে সুপ্রিম কোর্ট: মোহন ভাগবত
শপথে অনড় সুলতান-মোকাব্বির
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- একাদশ সংসদে নির্বাচিত গণফোরামের দুজনই শপথ নিতে এখনো অনড়। কিন্তু এরআগে ফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন জানান, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নেবেন না। একাদশ নির্বাচনে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর গণফোরাম থেকে মনোনয়ন নিয়ে ঐক্যফন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে মৌলভীবাজার-২ আসনে নির্বাচিত হন। শপথ গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে সুলতান মনসুর বলেন, সময়ই কথা বলে। সময় হলেই দেখতে পাবেন। অপরদিকে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান ফ্রন্টের ব্যানারে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে সিলেট-২ আসনে নির্বাচিত হন। শপথের বিষয়ে মোকাব্বির খান বলেন, শপথের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সংসদে যাওয়া ও না যাওয়ার ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। শপথ গ্রহণে ইতিবাচক ছিলেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনো তো ইতিবাচক আছি। ব্যক্তিগতভাবে ইতিবাচক। কিন্তু আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত তো এখনো হয় নাই। দলীয় সিদ্ধান্ত না হলে, কি করবেন?- জবাবে মোকাব্বির বলেন, সংসদে যাবো না। তবে শেষ কথা হলো, আমি গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য। সুতরাং যেখানে সিদ্ধান্ত হবে, সেখানে তো আমারও ভূমিকা থাকবে! যদিও বৃহস্পতিবার বিকেল রাজধানীর মতিঝিলে নিজ চেম্বারে ফ্রন্টের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন বলেন, এটা তো স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে যে, তারা শপথ নেবেন না। সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ এমএ/ ১০:৩৩/ ৩১ জানুয়ারি
পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হলেন খোকন
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব হিসেবে আবারো নিয়োগ পেয়েছেন আশরাফুল আলম খোকন। এর আগেও তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশরাফুল আলম আগের চুক্তির ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব পদে কর্মরত থাকবেন। এর আগে ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব পদে আশরাফুল আলম খোকনকে নিয়োগ দেয়া হয়। সৃষ্টিশীল চিন্তা, দায়িত্বশীল মনোভাব ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে আশরাফুল আলম খোকন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এর আধুনিকায়ন ও প্রেস উইং কে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে কাজের সমন্বয় ও সকল পর্যায়ের পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে সর্ম্পক উন্নয়নেও কাজ করছেন তিনি। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে ছাত্রজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন খোকন। পেশাগত জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর উপ- প্রেস সচিব পদে যোগদানের আগে আশরাফুল আলম খোকন চ্যানেল আইয়ের নর্থ আমেরিকার প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ পদে তিনি ৬ বছর কাজ করেন। তার বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাশিয়া উপজেলায়। এমএ/ ০৯:৪৪/ ৩১ জানুয়ারি
পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হলেন খোকন
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ-প্রেস সচিব হিসেবে আবারো নিয়োগ পেয়েছেন আশরাফুল আলম খোকন। এর আগেও তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশরাফুল আলম আগের চুক্তির ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব পদে কর্মরত থাকবেন। এর আগে ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব পদে আশরাফুল আলম খোকনকে নিয়োগ দেয়া হয়। সৃষ্টিশীল চিন্তা, দায়িত্বশীল মনোভাব ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে আশরাফুল আলম খোকন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এর আধুনিকায়ন ও প্রেস উইং কে গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে কাজের সমন্বয় ও সকল পর্যায়ের পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে সর্ম্পক উন্নয়নেও কাজ করছেন তিনি। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে ছাত্রজীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন খোকন। পেশাগত জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর উপ- প্রেস সচিব পদে যোগদানের আগে আশরাফুল আলম খোকন চ্যানেল আইয়ের নর্থ আমেরিকার প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ পদে তিনি ৬ বছর কাজ করেন। তার বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাশিয়া উপজেলায়। এমএ/ ০৯:৪৪/ ৩১ জানুয়ারি
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চেয়েছি: মোমেন
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনা করা হয়েছে। এর আগে বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি মহিউদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আনা হয়েছিলো। সেভাবে খুনি রাশেদ চৌধুরীকেও ফেরত দিতে বলেছি। রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত কি বলেছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তিনি বিষয়টি ওয়াশিংটনে জানাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড জানান, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ইত্যাদি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় দেশ যেন উইন উইন অবস্থায় যেতে পারে আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করবো। এমএ/ ০৯:৩৩/ ৩১ জানুয়ারি
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি: মন্ত্রণালয়কে দুদকের ২৫ সুপারিশ
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- সারাদেশে স্বাস্থ্য খাতের ১১টি দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে সেগুলো নির্মূলে ২৫ দফা সুপারিশ প্রণয়ন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন দুদকের পরিচালক ড. মোজাম্মেল হক খান। এসময় দুদক কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যেসব খাতে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে এমন ১১টি খাত আমরা ধরতে পেরেছি। আর এসব জায়গা থেকে কীভাবে দুর্নীতি নির্মূল হবে তার জন্য ২৫টি সুপারিশ আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিতে এসেছি। আমরা মনে করি তারা যদি এ বিষয়ে আরও যত্নবান হয় তাহলে স্বাস্থ্যখাত থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব। তিনি বলেন, আমরা জানি প্রতিরোধ করলে প্রতিবাদের দরকার হয় না। ফলে আমাদের সরকার যেহেতু জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে ফলে আমরা দুর্নীতির বিষয়ে আরও কঠোর হবো। আর দুর্নীতি ঠেকাতে না পারলে উন্নত দেশ গড়ার কাজ বাধাগ্রস্থ হবে। সরকার এখন দুর্নীতিকে না বলুন নীতিতে চলছে। আর দুদকও সেই একই নীতির সঙ্গে কাজ করে। আমরা আশা করি এসব তথ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরীক্ষা করে দেখবে। তারা এটা সাদরে গ্রহণ করবে,যোগ করেন দুদক কমিশনার। দুদক প্রতিবেদনে ক্রয়, সেবা, নিয়োগ, বদলি, পদায়ন, ইকুইপমেন্ট ব্যবহার ও ঔষধ সরবরাহকে স্বাস্থ্যখাতের অন্যতম দুর্নীতির খাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে উল্লেখ করা ২৫ দফা সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, তথ্য বহুল সিটিজেন চার্টার, মালামাল রিসিভ কমিটিতে বিশেষজ্ঞ সংস্থার সদস্যদের অন্তর্ভুক্তিকরণ, ঔষধ ও মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইজিপিতে টেন্ডার অনুসরণ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল স্থাপন ও অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে নিজস্ব স্থায়ী চিকিৎসক-কর্মচারীর ও কার্যনির্বাহী কমিটি ইত্যাদি রয়েছে কি-না এসব বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও বদলির নীতিমালা প্রণয়ণ, চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধের নাম না লিখে জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামুলক করা, ইন্টার্নশিপ এক বছর থেকে বাড়িয়ে দুই বছর করা এবং বর্ধিত এক বছর উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে পিএসসি এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে মহাপরিচালক (স্থাস্থ্য) এবং পিএসসির প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশ প্রদান করা যেতে পারে, বলে উল্লেখ করা হয়েছে দুদকের ওই প্রতিবেদনে। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দুদকের দেওয়া প্রতিবেদন আমরা স্টাডি করবো। আমরা ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। তারা যেসব সুপারিশ করেছে তাও আমরা বিবেচনায় নিয়ে প্র্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যেহেতু দুর্নীতি থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয় না। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির কোনো আচরণ যাতে না থাকে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করবো। কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিতে আমরা সরিয়ে দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এখন থেকে প্রয়োজন ছাড়া কোনো বদলি হবে না। যার যেখানে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে দরকার হবে তার সেখানে বদলি করা হবে। তাছাড়া কোনো বদলি নয়। কোনো তদবিরে বদলি হবে না। আমরা হাসপাতালগুলোর সেবা বিষয়ে একটি মনিটরিং সেল করেছি। তারা সেবা বিষয়ে কাজ করছে। আশা করছি খুব কম সময়ের মধ্যে আরও উন্নতি হবে। এসময় মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: সারাবাংলা এমএ/ ০৯:৩৩/ ৩১ জানুয়ারি
শ্রমিকদের জন্য ফ্রি হেল্পলাইন ১৬৩৫৭ উদ্বোধন
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- শ্রমিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপনের সুবিধার্থে চালু করা হয়েছে টোল ফ্রি হেল্প লাইন ১৬৩৫৭। এ সেবার আওতায় কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত শ্রমিক কোনো চার্জ ছাড়াই দিনরাত ২৪ ঘন্টা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এই হেল্পলাইন সেবার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মজুরি কাঠামোর কয়েকটি গ্রেডে আশানুরূপ বেতন বৃদ্ধি না পাওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে কিছুটা অসন্তোষের জন্ম হয়েছিল। শ্রমবান্ধব সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও মালিক শ্রমিকদের আন্তরিকতায় মজুরি সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান সম্ভব হয়েছে। মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত গার্মেন্টস। এখানকার সব মালিকের সক্ষমতা সমান না হওয়ায় ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন একটি কঠিন কাজ। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমরা কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সদস্য করে ২৯টি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করেছি। তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত শ্রমিকদের সঙ্গে সংযোগে থাকতে চাই। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রম সচিব আফরোজা খাঁন, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সবাপতি শুক্কুর মাহমুদ প্রমুখ। এমএ/ ০৯:৩৩/ ৩১ জানুয়ারি
৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে বেকারত্বের হার! কেন্দ্রীয় সংস্থার এই রিপোর্ট উড়িয়ে দিল নীতি আয়োগ
আবেদা মেমোরিয়ালের এমডির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চায় দুদক
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- ফারমার্স ব্যাংকের ঋণের প্রায় ২৬ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আবেদা মেমোরিয়াল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইফতেখার হোসেন সিরাজী এবং তার স্ত্রী শারমিন রহমানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে দুদকের নিভর্রশীল সূত্রএই তথ্য নিশ্চিত করেছে। দুদক সূত্রে জানা যায়, ফারমার্স ব্যাংক থেকে তারা প্রায় ২৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এরপর ঋণের সেই টাকা ভুয়া ডকুমেন্টের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। আর কমিশন এই আত্মসাতের ঘটনা অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে আবেদা মেমোরিয়াল প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি ইফতেখার হোসেন সিরাজী এবং তার স্ত্রী শারমিন রহমান এই ঘটনার মূল হোতা। ফলে তারা যেকোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন। আর সেজন্য দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলম স্বাক্ষরিত এক বাতার্য় ইমিগ্রেশনকে অবহিত করা হয়েছে, তারা যেন কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে না পারেন। সূত্র: সারাবাংলা এমএ/ ০৯:২২/ ৩১ জানুয়ারি
আনিসুল হকের চেয়ে আমার কাজ খারাপ হলে প্রত্যাখ্যান করবেন
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার বিষয়ে আবারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ডিএনসিসি পুনঃনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আতিক। তিনি বলেন, আনিসুল হক যে স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন, যেই মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন, তার নিচে আমি যদি কাজ করি, তাহলে আমাকে প্রত্যাখ্যান করবেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, আনিসুল হকের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে বিজিএমইএতে কাজ করেছি। সুখে-দুঃখে বিপদে-আপদে কাজ করেছি। আপনাদের বলতে পারি, আনিসুল হক আমাদের কিছু স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন। কিছু কিছু স্বপ্ন নিজে বাস্তবায়ন করে গেছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আপনার সবাই এই বার্তা যদি পৌঁছে দেন যে, আনিস ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ আমি সম্পূর্ণ করবো। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আমরা দেখেছি, দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে কীভাবে চায়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগের এই জয় দলের জন্য আরও দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। যদি আমি নির্বাচিত হই, যদি আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেন, তাহলে আমি কথা দিচ্ছি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকেও দুর্নীতিমুক্ত করবো। আতিকুল ইসলাম বলেন, আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আপনারা জানেন, আমরা পাঁচ ভাই, ছয় বোন। এগারো ভাই বোনের মধ্যে আমি সবচেয়ে ছোট। আমাদের পরিবারের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমি চেষ্টা করব ৩৬ লাখ ভোটারের কাছে যাওয়ার জন্য। কিন্তু যদি না যেতে পারি, আপনারা প্রত্যেকে এক একজন আতিক হয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। যদি আমি জয়লাভ করি কথা দিচ্ছি, একটি অ্যাপ তৈরি করে দেবো। যদি ম্যানহোলে ঢাকনা না থাকে, যদি কোনো রাস্তায় লাইট না থাকে, আপনারা ছবি তুলে পাঠিয়ে দিয়ে ঢাকা শহরে মেয়র হিসেবে কাজ করবেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের এই দেশ দিয়েছেন, আমরা কি পারি না সেই দেশের মাটি ময়লা না করতে? যে দেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুয়ে আছেন সেই মাটিকে আমরা কেন ময়লা করব?, ট্রাফিক সাইন কেন মানবো না? বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করে, ত্রিশ লাখ শহীদ ভাই বোনকে সম্মান করে আমরা গাড়ি থেকে যেন কোনো ময়লা না ফেলি। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান পাঠান (ফারুক), ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা ১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হক আসলাম প্রমুখ। সূত্র: সারাবাংলা এমএ/ ০৮:৩৩/ ৩১ জানুয়ারি
আনিসুল হকের চেয়ে আমার কাজ খারাপ হলে প্রত্যাখ্যান করবেন
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র প্রয়াত আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার বিষয়ে আবারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ডিএনসিসি পুনঃনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম আতিক। তিনি বলেন, আনিসুল হক যে স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন, যেই মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়ে গেছেন, তার নিচে আমি যদি কাজ করি, তাহলে আমাকে প্রত্যাখ্যান করবেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, আনিসুল হকের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে বিজিএমইএতে কাজ করেছি। সুখে-দুঃখে বিপদে-আপদে কাজ করেছি। আপনাদের বলতে পারি, আনিসুল হক আমাদের কিছু স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন। কিছু কিছু স্বপ্ন নিজে বাস্তবায়ন করে গেছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আপনার সবাই এই বার্তা যদি পৌঁছে দেন যে, আনিস ভাইয়ের অসমাপ্ত কাজ আমি সম্পূর্ণ করবো। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আমরা দেখেছি, দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে কীভাবে চায়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আওয়ামী লীগের এই জয় দলের জন্য আরও দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। যদি আমি নির্বাচিত হই, যদি আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেন, তাহলে আমি কথা দিচ্ছি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকেও দুর্নীতিমুক্ত করবো। আতিকুল ইসলাম বলেন, আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আপনারা জানেন, আমরা পাঁচ ভাই, ছয় বোন। এগারো ভাই বোনের মধ্যে আমি সবচেয়ে ছোট। আমাদের পরিবারের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমি চেষ্টা করব ৩৬ লাখ ভোটারের কাছে যাওয়ার জন্য। কিন্তু যদি না যেতে পারি, আপনারা প্রত্যেকে এক একজন আতিক হয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। যদি আমি জয়লাভ করি কথা দিচ্ছি, একটি অ্যাপ তৈরি করে দেবো। যদি ম্যানহোলে ঢাকনা না থাকে, যদি কোনো রাস্তায় লাইট না থাকে, আপনারা ছবি তুলে পাঠিয়ে দিয়ে ঢাকা শহরে মেয়র হিসেবে কাজ করবেন। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের এই দেশ দিয়েছেন, আমরা কি পারি না সেই দেশের মাটি ময়লা না করতে? যে দেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুয়ে আছেন সেই মাটিকে আমরা কেন ময়লা করব?, ট্রাফিক সাইন কেন মানবো না? বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করে, ত্রিশ লাখ শহীদ ভাই বোনকে সম্মান করে আমরা গাড়ি থেকে যেন কোনো ময়লা না ফেলি। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন খান পাঠান (ফারুক), ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা ১৪ আসনের সাংসদ আসলামুল হক আসলাম প্রমুখ। সূত্র: সারাবাংলা এমএ/ ০৮:৩৩/ ৩১ জানুয়ারি
যেভাবে তারেক-ফখরুলকে ছাড়িয়ে গেছেন রিজভী
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- টানা এক বছর দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করে তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলামকে ছাড়িয়ে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। গত বছর জানুয়ারির শেষদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন প্রায় একশটির মতো মামলার আসামি রিজভী। এরপর থেকে কার্যালয়েই কেটে গেল তার একটি বছর। রিজভীর এ অবস্থানে দলের মধ্যে রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন, এর মাধ্যমে তিনি আবাসিক নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন; আবার কেউ বলেছেন, রিজভী আহমেদ নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যা তার পূর্বসূরি তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও করতে পারেননি। সূত্র জানায়, পরিবার-পরিজন ছেড়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলার যে কক্ষে তিনি রাত্রিযাপন করেন সে জায়গা কারাগারে থাকার জায়গার চেয়েও সংকুচিত। দলীয় কার্যালয়ে থেকেই রিজভী নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করেন দলের পক্ষ থেকে। এছাড়া দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বেশ কয়েকটি ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন তিনি। পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা নিয়মিতই তার জন্য খাবার নিয়ে আসেন নয়াপল্টন কার্যালয়ে। কার্যালয়ের কর্মচারীরা ছাড়াও দলের সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম এবং মৎসজীবী দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। তার স্বেচ্ছায় এ অবরুদ্ধ সময়ে স্ত্রী আঞ্জুমান আরা আইভীসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের খুব মিস করেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রিজভী। জানতে চাইলে স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ সময়ের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, খুব ভোরেই ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করি। পরে তিনতলার সংবাদ সম্মেলন কক্ষে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি। কিছুক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে সকালের নাশতা করি। রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত দিনের সময় পার হয় দলীয় কর্মকাণ্ডে। এছাড়া দলীয় কার্যালয়ে অধিকাংশ সময় কাটে উপন্যাস আর রাজনৈতিক বই পড়ে। রিজভী বলেন, আমি কার্যালয়ে অবস্থান করছি দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন হিসেবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কার্যালয়েই থাকতে চাই। রিজভীর এ অবস্থান সম্পর্কে দলের নির্বাহী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদটি তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এ পদে দায়িত্ব দেয়া হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম মহাসচিব হওয়ার পর রিজভী আহমেদ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পান। এ দায়িত্ব পেয়ে রিজভী আহমেদ পরিবার-পরিজন ছেড়ে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন এতে তার পূর্বসূরি দুজনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন। নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা তারেক রহমান-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও করতে পারেননি। তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। দলে সঠিক মূল্যায়ন হলে রিজভী আহমেদ পরবর্তীতে মহাসচিব বা স্থায়ী কমিটিতে যাবেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এক সহ-দফতর সম্পাদক বলেন, রিজভী আহমেদ দলের একজন ত্যাগী নেতা, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। উনি হয়তো ইমশনালি অবস্থান করছেন। কিন্তু দলের অনেকেই উনার রাজনৈতিক ধারণা সমর্থন করেন না। উনি প্রতিদিন ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রতিদিন কথা বলতে হবে কেন? উনাকে আবাসিক নেতা হিসেবে ঠাট্টা করা হচ্ছে। প্রতিদিন স্থায়ী কমিটির নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম থাকে সেখানে তো তারা কথা বলেন। উনি পার্টি অফিসে বসে বসে বক্তব্য দেয়ার কারণে অনেক সময় স্থায়ী কমিটি বা মহাসচিবের বক্তব্য গণমাধ্যমে গুরুত্ব পায় না। এছাড়া উনাকে পরিবার-পরিজন ছেড়ে দলীয় কার্যালয়ে থাকতে হবে কেন? উনি যে গ্রেফতারের আশঙ্কা করেন- এটা কতটা ঠিক? দলের তো এর চেয়েও খারাপ সময় গেছে, উনি জেলে গেছেন তারপর পর্যায়ক্রমে শামসুজ্জামান দুদু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ড. আসাদুজ্জামান রিপন মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তো এক্সিকিউটিভ পোস্ট, উনি দফতরে পড়ে আছেন কেন? দলে এক নেতা, একপদের যে নীতি সেটা তো উনি মানছেন না। রিজভী আহমেদ গ্রেফতার হলে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আছেন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ অনেকে আছেন যারা দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখেন। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, রিজভী আহমেদ পরিবার ছাড়া কষ্টের মধ্যে জীবন-যাপন করছেন, এটা দলের অনেকে সমর্থন করেন না। কারণ উনার এ অবস্থানের মাধ্যমে স্ত্রীর হক নষ্ট করছেন। বলা যায়, রিজভী আহমেদের চেয়ে তার স্ত্রী আরও বেশি ত্যাগ স্বীকার করছেন। রিজভী আহমেদ এমন করে হয়তো বড় নেতা হবেন, মন্ত্রী হবেন কিন্তু তার স্ত্রী তো এসব এনজয় করবেন না। তাকে কেন এত কঠিন ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে? আমরা যারা রাজনীতি করি বা অন্য যারা পেশাজীবী রয়েছেন তারা তাদের কাজ শেষে স্বাভাবিকভাবে পরিবারকে সময় দেন। কিন্তু উনি দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। এটা দল সমর্থন করে না। কারণ দল এতটা অমানবিক নয়। আর যদি কেউ সমর্থন করেন তাহলে আমি বিশ্বাস করি তারা অসুস্থ মস্তিষ্কের। অবশ্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, রিজভী আহমেদ বাধ্য হয়েই দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, দলের স্বার্থে তিনি যে কষ্ট করছেন নেতাকর্মীর তার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তার এ অবস্থানের বর্ষপূর্তিতে অভিনন্দন জানাই। তার এ কষ্টের বিনিময়ে নিশ্চয় একদিন গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান বলেন, এটা ভালো তো, দল যেখানে যাকে দায়িত্ব দেয় তিনি সেখানে দায়িত্ব পালন করেন। উনি দলের জন্য অবস্থান করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান বলেন, একজন লোক যদি সার্বক্ষণিক দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করে দলের জন্য কাজ করেন- এটা তো নেগেটিভলি দেখার কোনো অবকাশ নেই। তিনি তো দলের জন্য কাজ করছেন। দলীয় কার্যালয় থেকে দলের জন্য আরও বেশি সময় দিতে পারছেন। অনেকের হয়তো এমন সুযোগ হয় না। সুতরাং এ সুযোগটা তার হয়েছে। তিনি ২৪ ঘণ্টা কার্যালয়ে অবস্থান করছেন- এটা আমরা পজিটিভলি দেখি। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ এইচ/২০:২১/৩১ জানুয়ারি
যেভাবে তারেক-ফখরুলকে ছাড়িয়ে গেছেন রিজভী
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- টানা এক বছর দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করে তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলামকে ছাড়িয়ে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। গত বছর জানুয়ারির শেষদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন প্রায় একশটির মতো মামলার আসামি রিজভী। এরপর থেকে কার্যালয়েই কেটে গেল তার একটি বছর। রিজভীর এ অবস্থানে দলের মধ্যে রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ বলছেন, এর মাধ্যমে তিনি আবাসিক নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন; আবার কেউ বলেছেন, রিজভী আহমেদ নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যা তার পূর্বসূরি তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও করতে পারেননি। সূত্র জানায়, পরিবার-পরিজন ছেড়ে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলার যে কক্ষে তিনি রাত্রিযাপন করেন সে জায়গা কারাগারে থাকার জায়গার চেয়েও সংকুচিত। দলীয় কার্যালয়ে থেকেই রিজভী নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন করেন দলের পক্ষ থেকে। এছাড়া দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বেশ কয়েকটি ঝটিকা বিক্ষোভ মিছিলও করেছেন তিনি। পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা নিয়মিতই তার জন্য খাবার নিয়ে আসেন নয়াপল্টন কার্যালয়ে। কার্যালয়ের কর্মচারীরা ছাড়াও দলের সহ-দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম এবং মৎসজীবী দলের নেতা আরিফুর রহমান তুষার তার সার্বক্ষণিক সঙ্গী। তার স্বেচ্ছায় এ অবরুদ্ধ সময়ে স্ত্রী আঞ্জুমান আরা আইভীসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের খুব মিস করেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন রিজভী। জানতে চাইলে স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ সময়ের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, খুব ভোরেই ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করি। পরে তিনতলার সংবাদ সম্মেলন কক্ষে অনেকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করি। কিছুক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে সকালের নাশতা করি। রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত দিনের সময় পার হয় দলীয় কর্মকাণ্ডে। এছাড়া দলীয় কার্যালয়ে অধিকাংশ সময় কাটে উপন্যাস আর রাজনৈতিক বই পড়ে। রিজভী বলেন, আমি কার্যালয়ে অবস্থান করছি দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলন হিসেবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কার্যালয়েই থাকতে চাই। রিজভীর এ অবস্থান সম্পর্কে দলের নির্বাহী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদটি তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এ পদে দায়িত্ব দেয়া হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম মহাসচিব হওয়ার পর রিজভী আহমেদ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পান। এ দায়িত্ব পেয়ে রিজভী আহমেদ পরিবার-পরিজন ছেড়ে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন এতে তার পূর্বসূরি দুজনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন। নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, যা তারেক রহমান-মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও করতে পারেননি। তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তির অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন। দলে সঠিক মূল্যায়ন হলে রিজভী আহমেদ পরবর্তীতে মহাসচিব বা স্থায়ী কমিটিতে যাবেন। দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এক সহ-দফতর সম্পাদক বলেন, রিজভী আহমেদ দলের একজন ত্যাগী নেতা, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। উনি হয়তো ইমশনালি অবস্থান করছেন। কিন্তু দলের অনেকেই উনার রাজনৈতিক ধারণা সমর্থন করেন না। উনি প্রতিদিন ছোটখাটো বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রতিদিন কথা বলতে হবে কেন? উনাকে আবাসিক নেতা হিসেবে ঠাট্টা করা হচ্ছে। প্রতিদিন স্থায়ী কমিটির নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম থাকে সেখানে তো তারা কথা বলেন। উনি পার্টি অফিসে বসে বসে বক্তব্য দেয়ার কারণে অনেক সময় স্থায়ী কমিটি বা মহাসচিবের বক্তব্য গণমাধ্যমে গুরুত্ব পায় না। এছাড়া উনাকে পরিবার-পরিজন ছেড়ে দলীয় কার্যালয়ে থাকতে হবে কেন? উনি যে গ্রেফতারের আশঙ্কা করেন- এটা কতটা ঠিক? দলের তো এর চেয়েও খারাপ সময় গেছে, উনি জেলে গেছেন তারপর পর্যায়ক্রমে শামসুজ্জামান দুদু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ড. আসাদুজ্জামান রিপন মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তো এক্সিকিউটিভ পোস্ট, উনি দফতরে পড়ে আছেন কেন? দলে এক নেতা, একপদের যে নীতি সেটা তো উনি মানছেন না। রিজভী আহমেদ গ্রেফতার হলে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি আছেন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ অনেকে আছেন যারা দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা রাখেন। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, রিজভী আহমেদ পরিবার ছাড়া কষ্টের মধ্যে জীবন-যাপন করছেন, এটা দলের অনেকে সমর্থন করেন না। কারণ উনার এ অবস্থানের মাধ্যমে স্ত্রীর হক নষ্ট করছেন। বলা যায়, রিজভী আহমেদের চেয়ে তার স্ত্রী আরও বেশি ত্যাগ স্বীকার করছেন। রিজভী আহমেদ এমন করে হয়তো বড় নেতা হবেন, মন্ত্রী হবেন কিন্তু তার স্ত্রী তো এসব এনজয় করবেন না। তাকে কেন এত কঠিন ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে? আমরা যারা রাজনীতি করি বা অন্য যারা পেশাজীবী রয়েছেন তারা তাদের কাজ শেষে স্বাভাবিকভাবে পরিবারকে সময় দেন। কিন্তু উনি দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। এটা দল সমর্থন করে না। কারণ দল এতটা অমানবিক নয়। আর যদি কেউ সমর্থন করেন তাহলে আমি বিশ্বাস করি তারা অসুস্থ মস্তিষ্কের। অবশ্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, রিজভী আহমেদ বাধ্য হয়েই দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, দলের স্বার্থে তিনি যে কষ্ট করছেন নেতাকর্মীর তার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং তার এ অবস্থানের বর্ষপূর্তিতে অভিনন্দন জানাই। তার এ কষ্টের বিনিময়ে নিশ্চয় একদিন গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান বলেন, এটা ভালো তো, দল যেখানে যাকে দায়িত্ব দেয় তিনি সেখানে দায়িত্ব পালন করেন। উনি দলের জন্য অবস্থান করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান বলেন, একজন লোক যদি সার্বক্ষণিক দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করে দলের জন্য কাজ করেন- এটা তো নেগেটিভলি দেখার কোনো অবকাশ নেই। তিনি তো দলের জন্য কাজ করছেন। দলীয় কার্যালয় থেকে দলের জন্য আরও বেশি সময় দিতে পারছেন। অনেকের হয়তো এমন সুযোগ হয় না। সুতরাং এ সুযোগটা তার হয়েছে। তিনি ২৪ ঘণ্টা কার্যালয়ে অবস্থান করছেন- এটা আমরা পজিটিভলি দেখি। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ এইচ/২০:২১/৩১ জানুয়ারি
শেখ হাসিনা আমার নেত্রী, বঙ্গবন্ধু ও জয় বাংলা আমার ঠিকানা: সুলতান মনসুর
মৌলভীবাজার, ৩১ জানুয়ারি- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনকি সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি, মৌলভীবাজার-২ আসনের বর্তমান সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেছেন- শেখ হাসিনা আমার নেত্রী, বঙ্গবন্ধু ও জয় বাংলা আমার ঠিকানা। এখানে কোনো আপস নেই। আর আমি আওয়ামী লীগ ছাড়িনি। আওয়ামী লীগ আমাকে বহিষ্কারও করেনি। নানা বিষয় নিয়ে আলাপকালে সুলতান মনসুর এসব কথা বলেন। শপথের ব্যাপারে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আরও জানান- যেহেতু জনগণের জন্য রাজনীতি করি সেহেতু জনগণের মতামতকে মূল্য দিতে হবে।সারাদেশের অনেক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। এই সময়ে আমি একজন মানুষও পাইনি যে, শপথের বিপক্ষে। শপথ না নিলে নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজার-২ আসনের ভোটারদের অসম্মান করা হবে বলেও মনে করেন সুলতান মনসুর। সুলতান মনসুর বলেন- এর বাইরে অন্যরা কে কী বলেছে, তা আমি জানি না। সময় তো আছে, তাড়াহুড়ার কিছু নেই। ৯০ দিনের মধ্যে শপথ নিলেই হবে। জনগণ শত প্রতিকূলতা মাঝে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আমাদের নির্বাচিত করেছে। আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি। তবে সরাসরি বিএনপি থেকে নির্বাচন করিনি। ধানের শীষ ঐক্যফ্রন্টের প্রতীক। যেহেতু নির্বাচন করব, তাই এই প্রতীক নিয়েছিলাম। তিনি বলেন- আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে কেউ বের করে দেয়নি। আর আমি কোনো দলে যোগদানও করিনি। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। গণফোরাম থেকে নির্বাচনে গেছি। কারণ গণফোরামে বঙ্গবন্ধুর চিন্তার মিল আছে। আলীগে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন- আওয়ামী লীগ যদি আমাকে ডাকে তাহলে চিন্তা করতে পারি। কারণ আমাকে তো আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। বিএনপি তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও সিদ্ধান্ত নেবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তো সবাই আলাদা দল। আমাদের সিদ্ধান্ত অবশ্যই পজিটিভ হবে। সুলতান মনসুর বলেন- আমিও নেত্রী সম্পর্কে কোনো দিন কোনো কটু কথা বলিনি, নেত্রীও আমার নাম উচ্চারণ করে আমার সম্পর্কে কোনো দিন কটু কিছু বলেননি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দাওয়াতের প্রসঙ্গে সুলতান মনসুর বলেন- প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াত গ্রহণ করে গণভবনে যাওয়া উচিত। এক প্রশ্নের জবাবে মনসুর বলেন- ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিলেও সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের স্বাধীন চিন্তার অধিকার আছে। আমার এলাকার ভোটারদের কথা ভাবতে হবে। তারা কেন আমাকে নির্বাচিত করেছে। ধানের শীষ প্রতীকে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নিলে আইনি কোনো সমস্যা হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন- না, এটা কোনো সমস্যা হবে না। বিএনপি যদি সংসদে যেত, আর আমি যদি তাদের বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দিতাম, সেক্ষেত্রে সমস্যা হতো। এখন যেহেতু বিএনপি সংসদে যাচ্ছে না। তাই আমার শপথে কোনো সমস্যা হবে না। আমি তো গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছি। আমার এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে সংসদে কথা বলার জন্য। তাদের জন্য কাজ করতেই আমাকে সংসদে যেতে হবে। এদিকে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সংসদে না যাওয়ার জন্য জোটের অন্যতম বৃহৎ শরিক দল বিএনপি চাপাচাপি করছে। একইভাবে সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের আগে গণফোরামের নির্বাচিত দুই এমপি সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানকে শপথ নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে ঐক্যফ্রন্ট। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে প্রয়োজনে সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন তারা। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার কারণে একদিকে যেমন সংসদে না যেতে চাপ দিচ্ছে বিএনপি, অন্যদিকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য গণফোরামের নেতাকর্মীরা চাপ দিচ্ছে। বিএনপি সংসদে না যাওয়াকে আন্দোলনের অংশ মনে করছে। সংসদে গিয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তকে আন্দোলন বলছে গণফোরাম। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করায় জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সুলতান মনসুর সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলে বিএনপি তার সদস্য পদ বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিলে তার সদস্য পদ থাকবে না। তবে এ বিষয়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর মন্তব্য হল- সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে তারা এখনও অটল। সুলতান মনসুর আহমেদ গণফোরামের প্রেসিডিয়ামের সদস্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য। সেভাবেই নির্বাচন হয়েছে। তিনি ধানের শীষ প্রতীকে ঐক্যফ্রন্টের সমর্থনে নির্বাচন করেছেন। এখন আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে সংসদে না যাওয়ার, শপথ না নেওয়ার। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ২০০৯ সালের সম্মেলনে বাদ পড়েন দলীয় পদ থেকে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর অনেকেই মনে করেছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখানেই শেষ। তাই অনেক নেতাই সে সময় ভিন্ন পথ ধরেছিলেন। কিন্তু সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। এ কারণে জীবনের বড় একটা সময় কাটাতে হয়ছে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড়ে আত্মগোপনে। ৭৫-এর পর প্রথম ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে ডাকসুর ভিপি হয়ে তিনি পাদপ্রদীপে এসেছিলেন। ১৯৬৮ সাল থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে যে রাজনীতি শুরু করেছিলেন তা আজও আছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারবিরোধী ঐক্যন্টে যোগ দিলেও লাখো সরকারবিরোধী কর্মীর সামনে আঙুল উঁচিয়ে বলেছেন-জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বারবার জনসভায় উচ্চারণ করেছেন - আজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়েই চলব। সৎ, পরিচ্ছন্ন ও সুনীতির ব্যক্তি সুলতান মনসুর মেধাবী, আদর্শবান ও পরীক্ষিত ছাত্রনেতা হিসেবে আশির দশকে সারা বাংলাদেশ কাঁপিয়েছিলেন। নেতৃত্বগুণে শেখ হাসিনার কাছের মানুষ হতেও তার সময় লাগেনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। এর প্রমাণও দিয়েছিলেন সে সময়। দায়িত্ব গ্রহণ করে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনে তার সক্রিয় রাজনীতি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কিন্তু নেত্রীয় আস্থাভাজন হয়েও ১/১১-এর পর সংস্কারপন্থী হিসেবে তাকে আখ্যায়িত করা হয়। সে সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত তোফায়েল আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ অনেকেই দলে ফিরে আসেন। কিন্তু ফিরে আসতে পারেননি ৭৫ পরবর্তী পরিস্থিতিতে অস্ত্রহাতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিরোধের ডাক দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া এবং আশির দশকের কঠিন সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিকে সক্রিয় ও সুসংগঠিত করার কারিগর সুলতান মনসুর। এইচ/২০:০৯/৩১ জানুয়ারি
শপথও নেবে না, চা-চক্রেও যাচ্ছে না ঐক্যফ্রন্ট
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে যাচ্ছে না জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সেইসঙ্গে গণফোরামের নির্বাচিত দুই সংসদ সদস্য শপথ নেবেন না বলে জানানো হয়েছে। এ জোটের পক্ষ থেকে নতুন কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে দলের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে বিকেলে সাড়ে ৪টায় স্টিয়ারিং কমিটির এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কালো পতাকা প্রদর্শন করা হবে। এ ছাড়া আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীদের নিয়ে গণশুনানি হবে। গণশুনানির সময় এবং স্থান পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচনের পর এ চা চক্রের আয়োজন, সেখানে আমরা যাব না। গণফোরামের দুই নেতার শপথ নেয়া প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের কেউ শপথ নেবে না। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ এইচ/১৯:৫১/৩১ জানুয়ারি
নদ-নদী নিয়ে কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা শতশত নদ-নদী অবৈধভাবে দখল এবং সেগুলো উদ্ধারে আইনি লড়াই নিয়ে কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণাকালে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। নদ-নদী দখল নিয়ে আলাদা আলাদা মামলা ও পুনঃদখলের কঠোর সমালোচনা করে হাইকোর্ট আদালত বলেন, দেশে শত শত নদী রয়েছে। এসব নদী দখলকে কেন্দ্র করে পৃথক মামলা ও পৃথক আদেশ হয়। দখলদাররা ফের গিয়ে দখল করে। এমনটি চলতে দেওয়া যায় না। আমরা এসব বিষয়কে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে চাই। নদী নিয়ে এসব কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। আদালত বলেন, এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের একটি রায় ও গাইড লাইনের আলোকে নদী কমিশন গঠিত হয়েছে। আইন তৈরি হয়েছে। আমরা সেটি দেখে আরও কিছু গাইড লাইন দিয়ে রায় দেব। এ জন্য আগামী রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাকি রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেন আদালত। এর আগে, গতকাল বুধবার (৩০ জানুয়ারি) মানুষের মতো নদ-নদীও পাবে আইনি অধিকার; এমন অভিমত দিয়ে রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত। রায়ে তুরাগ নদীকে লিগ্যাল পারসন ঘোষণা করা হয়। এ মামলার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ের আলোকে আইন প্রণেতারা যখন আইন প্রণয়ন করেছেন, তখন নদীরক্ষা কমিশনকে একটি ঠুটো জগন্নাথ হিসেবে তৈরি করেছেন। কমিশন শুধু প্রতিবেদন বা সুপারিশ দিতে পারবে। কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে না। সেই কারণে কমিশনের যে উদ্দেশ্য গঠিত হয়েছে, তা পরিপূর্ণতা পাচ্ছে না। এ কারণে আমরা বার বার আদালতে আসি। আদালত বলেন, আমরা এমন একটি রায় দিতে চাই। যেন অবৈধ দখলমুক্ত করতে বারবার আদালতে আসতে না হয়। এসব বিষয় নিয়ে আদালত দেখছেন অন্য আরও বিষয়ে দেখে রায় দেবেন। যেন একটি গাইড লাইন অন্য একটির সঙ্গে কনফ্লিক্ট তৈরি না হয়। এ সময় আদালত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে মন্তব্য করে আদালত বলেন, সাংবাদিকদের তথ্যবহুল প্রতিবেদনের আলোকেই আমরা সমাজের অনিয়মের কথা জানতে পারি। সাংবাদিকরা বংশিবাদকের মত। নদী দখলসহ সব ধরনের অনিয়মের কথা সাংবাদিকরাই তুলে ধরেন। আমাদের দেশের সাংবাদিকতার অনেক উন্নয়ন দরকার। আদালত যুক্তরাষ্ট্রের রেফারেন্স দিয়ে বলেন, দুই সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে সে দেশের সরকার পতন হয়েছিল। আমাদের দেশেও সেই ধরনের এফেক্টিভ জার্নালিজম হওয়া দরকার। এতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। প্রসঙ্গত, ঢাকার অদূরের তুরাগ নদকে মৃত ঘোষণা সময়ের ব্যাপার-এ ধরনের শিরোনামে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যার সূত্র ধরে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ রিট আবেদন করে। এরপর এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত কয়েকদফা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন এবং রুল জারি করেন। ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত। এমএ/ ০৭:৪৪/ ৩১ জানুয়ারি
নদ-নদী নিয়ে কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা শতশত নদ-নদী অবৈধভাবে দখল এবং সেগুলো উদ্ধারে আইনি লড়াই নিয়ে কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণাকালে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। নদ-নদী দখল নিয়ে আলাদা আলাদা মামলা ও পুনঃদখলের কঠোর সমালোচনা করে হাইকোর্ট আদালত বলেন, দেশে শত শত নদী রয়েছে। এসব নদী দখলকে কেন্দ্র করে পৃথক মামলা ও পৃথক আদেশ হয়। দখলদাররা ফের গিয়ে দখল করে। এমনটি চলতে দেওয়া যায় না। আমরা এসব বিষয়কে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে চাই। নদী নিয়ে এসব কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। আদালত বলেন, এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের একটি রায় ও গাইড লাইনের আলোকে নদী কমিশন গঠিত হয়েছে। আইন তৈরি হয়েছে। আমরা সেটি দেখে আরও কিছু গাইড লাইন দিয়ে রায় দেব। এ জন্য আগামী রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাকি রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেন আদালত। এর আগে, গতকাল বুধবার (৩০ জানুয়ারি) মানুষের মতো নদ-নদীও পাবে আইনি অধিকার; এমন অভিমত দিয়ে রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত। রায়ে তুরাগ নদীকে লিগ্যাল পারসন ঘোষণা করা হয়। এ মামলার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ের আলোকে আইন প্রণেতারা যখন আইন প্রণয়ন করেছেন, তখন নদীরক্ষা কমিশনকে একটি ঠুটো জগন্নাথ হিসেবে তৈরি করেছেন। কমিশন শুধু প্রতিবেদন বা সুপারিশ দিতে পারবে। কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে না। সেই কারণে কমিশনের যে উদ্দেশ্য গঠিত হয়েছে, তা পরিপূর্ণতা পাচ্ছে না। এ কারণে আমরা বার বার আদালতে আসি। আদালত বলেন, আমরা এমন একটি রায় দিতে চাই। যেন অবৈধ দখলমুক্ত করতে বারবার আদালতে আসতে না হয়। এসব বিষয় নিয়ে আদালত দেখছেন অন্য আরও বিষয়ে দেখে রায় দেবেন। যেন একটি গাইড লাইন অন্য একটির সঙ্গে কনফ্লিক্ট তৈরি না হয়। এ সময় আদালত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে মন্তব্য করে আদালত বলেন, সাংবাদিকদের তথ্যবহুল প্রতিবেদনের আলোকেই আমরা সমাজের অনিয়মের কথা জানতে পারি। সাংবাদিকরা বংশিবাদকের মত। নদী দখলসহ সব ধরনের অনিয়মের কথা সাংবাদিকরাই তুলে ধরেন। আমাদের দেশের সাংবাদিকতার অনেক উন্নয়ন দরকার। আদালত যুক্তরাষ্ট্রের রেফারেন্স দিয়ে বলেন, দুই সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে সে দেশের সরকার পতন হয়েছিল। আমাদের দেশেও সেই ধরনের এফেক্টিভ জার্নালিজম হওয়া দরকার। এতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। প্রসঙ্গত, ঢাকার অদূরের তুরাগ নদকে মৃত ঘোষণা সময়ের ব্যাপার-এ ধরনের শিরোনামে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যার সূত্র ধরে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ রিট আবেদন করে। এরপর এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত কয়েকদফা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন এবং রুল জারি করেন। ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত। এমএ/ ০৭:৪৪/ ৩১ জানুয়ারি
নদ-নদী নিয়ে কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত: হাইকোর্ট
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা শতশত নদ-নদী অবৈধভাবে দখল এবং সেগুলো উদ্ধারে আইনি লড়াই নিয়ে কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত মামলার রায় ঘোষণাকালে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। নদ-নদী দখল নিয়ে আলাদা আলাদা মামলা ও পুনঃদখলের কঠোর সমালোচনা করে হাইকোর্ট আদালত বলেন, দেশে শত শত নদী রয়েছে। এসব নদী দখলকে কেন্দ্র করে পৃথক মামলা ও পৃথক আদেশ হয়। দখলদাররা ফের গিয়ে দখল করে। এমনটি চলতে দেওয়া যায় না। আমরা এসব বিষয়কে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে চাই। নদী নিয়ে এসব কানামাছি খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। আদালত বলেন, এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের একটি রায় ও গাইড লাইনের আলোকে নদী কমিশন গঠিত হয়েছে। আইন তৈরি হয়েছে। আমরা সেটি দেখে আরও কিছু গাইড লাইন দিয়ে রায় দেব। এ জন্য আগামী রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাকি রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেন আদালত। এর আগে, গতকাল বুধবার (৩০ জানুয়ারি) মানুষের মতো নদ-নদীও পাবে আইনি অধিকার; এমন অভিমত দিয়ে রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত। রায়ে তুরাগ নদীকে লিগ্যাল পারসন ঘোষণা করা হয়। এ মামলার আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিচারপতি খায়রুল হকের রায়ের আলোকে আইন প্রণেতারা যখন আইন প্রণয়ন করেছেন, তখন নদীরক্ষা কমিশনকে একটি ঠুটো জগন্নাথ হিসেবে তৈরি করেছেন। কমিশন শুধু প্রতিবেদন বা সুপারিশ দিতে পারবে। কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে না। সেই কারণে কমিশনের যে উদ্দেশ্য গঠিত হয়েছে, তা পরিপূর্ণতা পাচ্ছে না। এ কারণে আমরা বার বার আদালতে আসি। আদালত বলেন, আমরা এমন একটি রায় দিতে চাই। যেন অবৈধ দখলমুক্ত করতে বারবার আদালতে আসতে না হয়। এসব বিষয় নিয়ে আদালত দেখছেন অন্য আরও বিষয়ে দেখে রায় দেবেন। যেন একটি গাইড লাইন অন্য একটির সঙ্গে কনফ্লিক্ট তৈরি না হয়। এ সময় আদালত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে মন্তব্য করে আদালত বলেন, সাংবাদিকদের তথ্যবহুল প্রতিবেদনের আলোকেই আমরা সমাজের অনিয়মের কথা জানতে পারি। সাংবাদিকরা বংশিবাদকের মত। নদী দখলসহ সব ধরনের অনিয়মের কথা সাংবাদিকরাই তুলে ধরেন। আমাদের দেশের সাংবাদিকতার অনেক উন্নয়ন দরকার। আদালত যুক্তরাষ্ট্রের রেফারেন্স দিয়ে বলেন, দুই সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের আলোকে সে দেশের সরকার পতন হয়েছিল। আমাদের দেশেও সেই ধরনের এফেক্টিভ জার্নালিজম হওয়া দরকার। এতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। প্রসঙ্গত, ঢাকার অদূরের তুরাগ নদকে মৃত ঘোষণা সময়ের ব্যাপার-এ ধরনের শিরোনামে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যার সূত্র ধরে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ রিট আবেদন করে। এরপর এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত কয়েকদফা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন এবং রুল জারি করেন। ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে রায় ঘোষণা শুরু করেন আদালত। এমএ/ ০৭:৪৪/ ৩১ জানুয়ারি
শ্রমিকদের অভিযোগ গ্রহণে ১৬৩৫৭ হেল্পলাইন চালু
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- শ্রম পরিস্থিতি, ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়ন এবং যেকোনো পরিস্থিতি জানানোর জন্য ১৬৩৫৭ হেল্পলাইন সেবা চালু করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ সেবার আওতায় কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত শ্রমিক কোনো চার্জ ছাড়াই দিনরাত ২৪ ঘন্টা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এই হেল্প লাইন সেবার উদ্বোধন করেন। পাঁচ ডিজিটের ১৬৩৫৭ হেল্পলাইন এরই মধ্যেই চালু হয়েছে। হটলাইন উদ্বোধন শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত তৈরি পোশাক শিল্প খাতে সমন্বিত শ্রম-ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান এতে সভাপতিত্ব করেন। আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত এই গার্মেন্টসের জন্য ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন একটি কঠিন কাজ। কারণ সব মালিকের সক্ষমতা সমান নয়। তারপরও মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে আর কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি হোক আমরা তা চাই না। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বক্ষণিক শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমরা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তাদের সদস্য করে ২৯টি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করেছি। কমিটির সদস্যরা ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের বিষয় মনিটরিং করবেন। আর প্রতিনিয়ত শ্রমিকদের সঙ্গে সংযোগ থাকতে টোল ফ্রি হেল্প লাইন চালু থাকবে। তিনি আরোও বলেন, এই কমিটির সদস্যরা কোনো কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই বা চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটলে আইনানুগভাবে নিষ্পত্তি করবে। কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে কারখানায় যাবেন এবং মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। এই কমিটির সদস্যরা তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য মালিকদের সাথে আলোচনা করে প্রতিটি কারখানায় ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করবেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠাবেন। এইচ/১৯:৪১/৩১ জানুয়ারি
শ্রমিকদের অভিযোগ গ্রহণে ১৬৩৫৭ হেল্পলাইন চালু
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- শ্রম পরিস্থিতি, ঘোষিত মজুরি বাস্তবায়ন এবং যেকোনো পরিস্থিতি জানানোর জন্য ১৬৩৫৭ হেল্পলাইন সেবা চালু করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ সেবার আওতায় কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত শ্রমিক কোনো চার্জ ছাড়াই দিনরাত ২৪ ঘন্টা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এই হেল্প লাইন সেবার উদ্বোধন করেন। পাঁচ ডিজিটের ১৬৩৫৭ হেল্পলাইন এরই মধ্যেই চালু হয়েছে। হটলাইন উদ্বোধন শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত তৈরি পোশাক শিল্প খাতে সমন্বিত শ্রম-ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান এতে সভাপতিত্ব করেন। আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত এই গার্মেন্টসের জন্য ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন একটি কঠিন কাজ। কারণ সব মালিকের সক্ষমতা সমান নয়। তারপরও মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে আর কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি হোক আমরা তা চাই না। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বক্ষণিক শ্রম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আমরা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তাদের সদস্য করে ২৯টি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করেছি। কমিটির সদস্যরা ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের বিষয় মনিটরিং করবেন। আর প্রতিনিয়ত শ্রমিকদের সঙ্গে সংযোগ থাকতে টোল ফ্রি হেল্প লাইন চালু থাকবে। তিনি আরোও বলেন, এই কমিটির সদস্যরা কোনো কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই বা চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটলে আইনানুগভাবে নিষ্পত্তি করবে। কোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে কারখানায় যাবেন এবং মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। এই কমিটির সদস্যরা তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য মালিকদের সাথে আলোচনা করে প্রতিটি কারখানায় ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করবেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠাবেন। এইচ/১৯:৪১/৩১ জানুয়ারি
৯২ রানে অল-আউট ভারত! খোঁচা দিতে গিয়ে পাল্টা খেলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ অধিনায়ক
প্রকাশ্যে আলিঙ্গন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী-ছাত্রীকে প্রকাশ্যে চাবুক ইন্দোনেশিয়ায়
‘এবারই ৮৭টা, সামনের বছর সেঞ্চুরি করে ফেলব’
পরনে বিকিনি টপ, 'ফাগুন বউ'-এর মহুল এবার হট লুকে
নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলেই শেয়ার করেন ছবি 
মার্কিন মুলুকে মন্দিরে হামলা; ভাঙচুর, বিগ্রহে কালি লেপে দিল দুষ্কৃতীরা
মার্কিন মুলুকে মন্দিরে হামলা; ভাঙচুর, বিগ্রহে কালি লেপে দিল দুষ্কৃতীরা
গণফোরামের দুই নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নেবেন না: ড. কামাল
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- গণফোরামের দুই নির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নেবেন না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেন। বৃহস্পতিবার বিকেল রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ফ্রন্টের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। গণফোরামের দুজন নির্বাচাত প্রার্থীর শপথ গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল বলেন, এটা তো স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, তারা শপথ গ্রহণ করবেন না। উল্লেখ শপথ নেওয়ার ব্যাপারে সম্প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান। এমনকি নিজের পুরনো দল আওয়ামী লীগে ফেরার আগ্রহও প্রকাশ করেছেন সুলতান মনসুর। এদিকে গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রতিবাদে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঐক্যফ্রন্ট। বিএনপি মহাসচিব ও ফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ৩০ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতির প্রহসন নির্বাচন হয়েছে- এর প্রতিবাদে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রার্থী ও ভুক্তভোগিদের উপস্থিতে গণশুনানি। এই গণশুনানি সারাদিন চলবে। গণগুনানির স্থানটা আপনাদের পরে জানানো হবে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত জাতীয় সংলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংলাপটা পরে হবে। আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চা চক্রে ঐক্যফ্রন্টের যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের এখানে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা কারাগারে রয়েছেন, অনেকে আহত-নিহত হয়েছেন। প্রার্থীরাও আহত হয়েছে। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে চা চক্রের যে আয়োজন, আমরা মনে করি এটা একটা পরিহাস মাত্র। এই চা চক্রে যাওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। গণফোরামের দুজন নির্বাচাত প্রার্থীর শপথ গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল বলেন, এটা তো স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, তারা শপথ গ্রহণ করবেন না। বৈঠকে গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রুত চৌধুরী, ঐক্যফ্রন্ট নেতা রেজা কিবরিয়া, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এমইউ/০৬:১০/৩১ জানুয়ারি
ঋণগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা কেন্দ্রের
প্রধানমন্ত্রী মোদী 'মিথ্যেবাদী', অভিযোগ সঙ্গীত পরিচালক বিশাল দাদলানির
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এবার অভিযোগে সরব হলেন সঙ্গীত পরিচালক বিশাল দাদলানি। লোকসভা নির্বাচনের আগে 'মিথ্যে কথা' বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার প্রকাশ্যে এমনই অভিযোগ করলেন বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক বিশাল দাদলানি।
চলে গেলেন ভারত-অস্ট্রেলিয়া ঐতিহাসিক 'টাই' টেস্ট-এর আম্পায়ার
বুড়িগঙ্গায় বিআইডব্লিউটিএর ২ দিনের অভিযান, উচ্ছেদ তিন শতাধিক স্থাপনা
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- ঢাকার প্রাণ প্রবাহ বুড়িগঙ্গা হলেও অবৈধ দখলদারদের কারণে দিন দিন এই নদী ভরাট করে গড়ে তোলা হচ্ছে স্থাপনা। এক থেকে আটতলা পর্যন্ত পাকা ভবন, কারখানা, স্কুল কলেজ সবই আছে অবৈধ স্থাপনায়। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ১১ দিনের অভিযানে নেমেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ)। গত দুইদিনে চলা অভিযানে প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর মূল নদী বুড়িগঙ্গা। নদীটি সচল ও দূষণমুক্ত রাখা এবং এটাকে সৌন্দর্যমন্ডিত রাখা বহুদিন থেকে নগরবাসীর দাবি। সরকারও সে দাবির প্রতি সম্মান জানিয়েছে। পাশাপাশি একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছে। এখন নানান সুপারিশের বাস্তবায়ন করা উচিত। নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের খবর আমরা প্রায় শুনতে পাই। কিন্তু কিছুদিন পর আবার দখলে নেয় দখলকারীরা। উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি পর্যাপ্ত মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, উচ্ছেদ স্থানকে প্লান করে একটি সৌন্দর্যমন্ডিত ও রক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে জায়গা উদ্ধারের পর সেখানে কি হবে তা আগে থেকে পরিকল্পনা নেয়া উচিত। আমরা হাতিরঝিল উদ্ধারের সময় দেখেছি, উদ্ধার করার পর ধরে রাখা যায় না। উদ্ধার করে রেখে দিলে কেউ না কেউ দখল করে নেবে। এখন একজন দখল করেছে, পরে আরেকজন দখল করবে। নদী দূষণ মুক্ত করতে হলে পুরো এলাকা উদ্ধার করতে হবে। জানতে পারলাম উনারা উদ্ধারের স্থানে হাঁটার রাস্তা করবে। কিন্তু সেটা পাশ হতে হতে সে সময়ে ফের দখলে চলে যাবে বলে আমি পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে মনে করি। আমরা আশায় আছি, এবারের উদ্ধারের অভিযানের পর পরিকল্পনা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা নদীকে দখল ও দুষণমুক্ত করতে কাজ করবে। এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ বুধবার ওয়াইজঘাট এলাকা থেকে শুরু হয়ে সোয়ারীঘাট ও কামরাঙ্গীর চরের নবাবচর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, কামরাঙ্গীর চরের খোলামুরা এলাকায় ৫ থেকে ৭টি ৪ তলা থেকে ৮ তলা ভবন নদী সীমানায় প্রবেশ করেন। যা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এক তলা থেকে ৩ তলা ভবন ছিল ৪ থেকে ৬টি। একজনকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া নদীর ভেতরে মদিনা ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান অনেকটুকু জায়গা দখল করে ছিল। যাও উচ্ছেদ করা হয়েছে। এছাড়া ১ থেকে দেড়শটি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। একই স্থানে আগামীকালও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার জানান। দুইদিনের অভিযানের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উচ্ছেদ করা বাড়িগুলো নদীতে অবৈধভাবে দালান ও মাচা দিয়ে স্থাপনা গড়েছিল। পাশাপাশি গড়ে তোলা হয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। যা দূর থেকে বুঝাই মুশকিল যে জায়গাটি তাদের নয়। অভিযানে কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি, আগামীতেও দেয়া হবে না। বিআইডব্লিউটিএর ১১ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রামের মধ্যে-মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ থানার কালীগঞ্জ তেলঘাট এলাকা পর্যন্ত অভিযান চলে। বৃহস্পতিবার ওয়াইজঘাট এলাকা থেকে শুরু হয়ে সোয়ারীঘাট ও কামরাঙ্গীর চরের নবাবচর পর্যন্ত অভিযান চলবে। ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের মুখ থেকে লোহারপুল পর্যন্ত। ৭ ফেব্রুয়ারি উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে মোহাম্মদপুর ও হাজারীবাগ থানা এলাকার বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ তীরে। ১২ ফেব্রুয়ারি শ্যামপুর এলাকা থেকে খোলামোড়া লঞ্চঘাট পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি মিরপুর বড়বাজার এলাকা থেকে শুরু করে আবারও কাটাসুর আমিন মোমিন হাউজিং পর্যন্ত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। তথ্যসূত্র: আরটিভি অনলাইন এমইউ/০৫:৪০/৩১ জানুয়ারি
দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার, এটাই সবাইকে ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এখানে কাউকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা অবহেলিত ভাবলে চলবে না। সকলকে ভাবতে হবে সবাই এই দেশের নাগরিক এবং প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার। আমরা সেটাই নিশ্চিত করতে চাই এবং এটা নিশ্চিত করবো-এটাই আমাদের লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আমাদের সকল জনগোষ্ঠী যেন সমান সুযোগ পায়, কেউ যেন অহেলিত না থাকে। কেউ যেন দূরে পড়ে না থাকে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা বিশেষভাবে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। যার ফলে আজকে এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা নিজস্ব স্বকীয়তায় পোশাক পরে অনুষ্ঠানে আসার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমার খুব ভাল লাগল, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ পোশাক পরে সুন্দরভাবে এসেছে। এটা খুবই সুন্দর লেগেছে। খুবই ভাল লেগেছে। কাজের প্রয়োজনে মানুষ পোশাক পরবে এতে সন্দেহ নাই। কিন্তু নিজের সংস্কৃতি, নিজস্ব স্বকীয়তাটাও মাঝে মাঝে প্রকাশ করা প্রয়োজন। তাতে মানুষ দেখতে পারে, আমাদের বৈচিত্র্যটা কত চমৎকার? যাতে সেটা দেখার একটা সুযোগ হয় বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটাই চাই, শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে সকলেই রাষ্ট্রপরিচালনায় আসবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। আমাদের দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে এবং দেশের সার্বিককাজে তোমরা যারা এখানে উপস্থিত আছো, যারা বৃত্তি পেয়েছো প্রত্যেকেই নিজেরা অবশ্যই অবদান রাখবে এবং নিজেদেরকে সেভাবে গড়ে তুলবে। পাশাপাশি নিজস্ব কিছু কাজ, নিজস্ব কিছু স্বকীয়তা বজার রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার যার পেশা, সেই পেশাটা ছেড়ে দিলে চলবে না। সেই পেশাটাকেও ধরে রাখতে হবে এবং সেটাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই যেন আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে সেই দিকে তোমাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে সেটাই আমি চাই। টানা তৃতীয়বার ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিতে জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে আবার জনগণ ভোট দিয়েছে। সরকার গঠন করে দেশের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আর এই সেবার ক্ষেত্রে প্রথম এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর হাতে বিশেষ ছাত্রছাত্রীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দিতে পারলাম। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, দেশটা আমাদের, এই কথাটা সবাইকে মনে রেখে যার যার ক্ষেত্রে সবাই কাজ করে যাবে এবং এখানে যারা কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, মেডিকেল ও বিভিন্ন সাবজেক্টের উপরে পড়াশোনা করছে, তারাই একদিন দেশ গড়ার কাজে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রতি দোয়া ও আর্শীবাদ জানিয়ে এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের মতো মানুষ হও এবং আমাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখো এবং স্ব স্ব পেশাকেও উন্নত মানে বিকশিত করো। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এমইউ/০৫:৩৫/৩১ জানুয়ারি
সরকারি স্কুলের মিড ডে মিলের খিচুড়িতে আস্ত সাপ
পুরসভা-পঞ্চায়েত কর্মী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পিএফ-ও এবার অনলাইনে
দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার, এটাই সবাইকে ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এখানে কাউকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা অবহেলিত ভাবলে চলবে না। সকলকে ভাবতে হবে সবাই এই দেশের নাগরিক এবং প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার। আমরা সেটাই নিশ্চিত করতে চাই এবং এটা নিশ্চিত করবো-এটাই আমাদের লক্ষ্য। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিক্ষা-দীক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আমাদের সকল জনগোষ্ঠী যেন সমান সুযোগ পায়, কেউ যেন অহেলিত না থাকে। কেউ যেন দূরে পড়ে না থাকে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা বিশেষভাবে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। যার ফলে আজকে এই বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা নিজস্ব স্বকীয়তায় পোশাক পরে অনুষ্ঠানে আসার বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমার খুব ভাল লাগল, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ পোশাক পরে সুন্দরভাবে এসেছে। এটা খুবই সুন্দর লেগেছে। খুবই ভাল লেগেছে। কাজের প্রয়োজনে মানুষ পোশাক পরবে এতে সন্দেহ নাই। কিন্তু নিজের সংস্কৃতি, নিজস্ব স্বকীয়তাটাও মাঝে মাঝে প্রকাশ করা প্রয়োজন। তাতে মানুষ দেখতে পারে, আমাদের বৈচিত্র্যটা কত চমৎকার? যাতে সেটা দেখার একটা সুযোগ হয় বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটাই চাই, শিক্ষা-দীক্ষা নিয়ে সকলেই রাষ্ট্রপরিচালনায় আসবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। আমাদের দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে এবং দেশের সার্বিককাজে তোমরা যারা এখানে উপস্থিত আছো, যারা বৃত্তি পেয়েছো প্রত্যেকেই নিজেরা অবশ্যই অবদান রাখবে এবং নিজেদেরকে সেভাবে গড়ে তুলবে। পাশাপাশি নিজস্ব কিছু কাজ, নিজস্ব কিছু স্বকীয়তা বজার রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার যার পেশা, সেই পেশাটা ছেড়ে দিলে চলবে না। সেই পেশাটাকেও ধরে রাখতে হবে এবং সেটাতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই যেন আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখে সেই দিকে তোমাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে সেটাই আমি চাই। টানা তৃতীয়বার ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ দিতে জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে আবার জনগণ ভোট দিয়েছে। সরকার গঠন করে দেশের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আর এই সেবার ক্ষেত্রে প্রথম এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর হাতে বিশেষ ছাত্রছাত্রীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দিতে পারলাম। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, দেশটা আমাদের, এই কথাটা সবাইকে মনে রেখে যার যার ক্ষেত্রে সবাই কাজ করে যাবে এবং এখানে যারা কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, মেডিকেল ও বিভিন্ন সাবজেক্টের উপরে পড়াশোনা করছে, তারাই একদিন দেশ গড়ার কাজে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রতি দোয়া ও আর্শীবাদ জানিয়ে এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের মতো মানুষ হও এবং আমাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখো এবং স্ব স্ব পেশাকেও উন্নত মানে বিকশিত করো। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এমইউ/০৫:৩৫/৩১ জানুয়ারি
খাবার নিয়ে বচসা, বিয়ের এক মিনিটেই বিচ্ছেদ নবদম্পতির!
চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ মানতে নারাজ চিকিৎসকরা
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি- কর্মক্ষেত্রে ৪০ ভাগ চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকেনদুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এমন অভিযোগ মানতে নারাজ চিকিৎসকরা। তাদের মতে, হাসপাতালের চিকিৎসা সিস্টেম ডিউটি রোস্টার মেনে করা হয়, তাই সবসময় শতভাগ চিকিৎসক হাসপাতালে উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)একটি পরিসংখ্যানে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের ৪০ শতাংশ অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি উঠে আসায় রাজধানীর চিকিৎসকেরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, অন্য সরকারি চাকরিজীবীর চেয়ে চিকিৎসকের দায়িত্ব আলাদা। হাসপাতালের চিকিৎসকের দায়িত্ব ২৪ ঘণ্টা। তাদের ডিউটি ৮টা-আড়াইটার হলেও কাজ কিন্তু সাড়ে ছয় ঘণ্টার নয়। চিকিৎসকসহ অন্যরা মর্নিং,ইভিনিং ও নাইট তিন রোস্টারে ডিউটি করেন। চিকিৎসকদের একজন বলেন, যদি এমন ঢালাওভাবে চিকিৎসকদের ওপর দোষারোপ চলতেই থাকে, তাহলে এই দেশের রোগীরা বিদেশি চিকিৎসা ট্যুরিজমের ফাঁদে পড়বে। তারা বিদেশে চিকিৎসা করাতে যাবে এবং সর্বস্বান্ত হবে। এতে করে এই দেশের চিকিৎসাখাত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। জানতে চাইলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাছির উদ্দিন বলেন, ডিউটি আওয়ারে মোট জনবল তিন ভাগে (রোস্টার) ডিউটি করেন। যারা নাইট ডিউটি করেন, তারা পরদিন আসেন না। এর বাইরেও ছুটি আছে, কোর্স ক্যাডার আছে, অনেক ব্যাপার আছে। তারা যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন এবং সারা বাংলাদেশের মানুষ এই বক্তব্য যেভাবে লুফে নিয়েছেন, এতে আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি। আমরা এত পরিশ্রম করি, সবাই এটা বিশ্বাস করলো না। ঢাকা শহরে আড়াই কোটি মানুষ বাস করে। কিন্তু তাদের চিকিৎসা আসলে কে দেয়? এখানে কোনটা অস্বাভাবিক কাজ হচ্ছে? কিন্তু মানুষ মূল্যায়ন করা তো দূরের কথা অবমূল্যায়ন করে বসে আছে। এ কে এম নাছির উদ্দিন বলেন, আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির হার আমরা সেইভাবে কখনোই প্রত্যক্ষ করি না। আমরা যেটা লক্ষ্য করি, কেউ হয়ত একটু দেরিতে অফিসে এলো। কিংবা কেউ এক ঘণ্টা আগে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গেলো। এখানকার প্রত্যেকটা ইউনিট কোনও না কোনও অধ্যাপকের অধীনে থাকে। তাই সেভাবে অনুপস্থিতি চোখে পড়ে না। এ প্রসঙ্গে শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা.উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন,চিকিৎসকদের দায়িত্ব অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীদের মতো নয়টা-পাঁচটা না। এই বিষয়টি সবাইকে অবশ্যই বুঝতে হবে। তা না হলে চিকিৎসকদের সম্পর্কে মানুষের বিরূপ ধারণা থেকেই যাবে। মানুষজন যারা হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নেন, তাদের কাছ থেকেই ঠিক তথ্য নেওয়া দরকার। আমাদের বিভাগীয় ও জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে শতভাগ চিকিৎসক উপস্থিত থাকে। তবে,উপজেলা পর্যায়ে কিছু চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকতে পারেন। কারণ,সেখানে বাসস্থান ও নিরাপত্তার খুব সমস্যা। এই সমস্যাগুলো সমাধান না করে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বললে অন্যায় করা হবে। আবার,চিকিৎসকদের শিক্ষা ছুটি,মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ অন্যান্য ছুটি থাকে। এক্ষেত্রেও অনেকে কর্মক্ষেত্রে থাকেন না। অধ্যাপক ডা.উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, শুধু চিকিৎসা পেশাতেই উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে হয়। অন্য কোনও পেশায় এই সিস্টেম নেই। এজন্য উচ্চতর শিক্ষার জন্য অনেকেই বর্তমান কর্মক্ষেত্র থেকে যান। কারণ,উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ না করলে কেউ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে পারবেন না। তবে,সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেটা বলেছেন,কেউ চাকরি নিয়ে যদি কর্মস্থলে না যান,তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। এই কথার সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। কেউ চাকরি নিলে তাকে অবশ্যই তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে হবে। তা না হলে তো তার দায়িত্ব পালন হলো না। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. রাজীব দে সরকার বলেন, মেডিসিন বিভাগে পাঁচজন চিকিৎসক, গাইনিতে পাঁচজন এইভাবে সব বিভাগে চিকিৎসক আছেন। রাতে এলেও দেখা যাবে চিকিৎসক আছেন। এই চিকিৎসক যদি পরদিন সকালে ডিউটি করেন, তাহলে তিনি কোয়ালিটি সার্ভিস দিতে পারবেন না। উপজেলার ক্ষেত্রে আমাদের মোট চিকিৎসক সংখ্যা ২১ জন। এই মুহুর্তে দেশের শতকরা ৯০ ভাগ হাসপাতালে ২১টি পদে চিকিৎসক নেই। রাষ্ট্র মনে করছে হাসপাতাল চালাতে ২১ জন চিকিৎসক লাগে, কিন্তু আছে ১০ জন। তারাই হাসপাতাল চালাচ্ছে। আমি সর্বশেষ যে হাসপাতালটি ছেড়ে এসেছি, সেখানে ১০ জন চিকিৎসক থাকার কথা ছিল; কিন্তু আছে মাত্র ৩ জন। এখন সেখানে যদি হাসপাতালে কেউ যান,শতভাগ উপস্থিতি অবশ্যই পাবেন না। যারা আগের দিন নাইট বা ইভিনিং করে যান,তাদেরকে পরের দিন সকালে না পাওয়ারই কথা। আর এটা নিয়ে যদি বলি চিকিৎসক অনুপস্থিত, তাহলে তো বাংলাদেশের হেলথ সিস্টেমে প্রভাব পড়বে। কারণ, চিকিৎসকরা নাইট ডিউটি করতে চাইবেন না। সবাই সকালে ডিউটি করতে চাইবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, চিকিৎসক সম্পর্কে দেশের মানুষের বিরূপ মনোভাব দেশের চিকিৎসাখাতকে ব্যাহত করছে। এতে করে চিকিৎসকের সন্তানেরা এবং মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই পেশায় আসছে না। এছাড়া, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও অনেক ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকা, দুর্নীতি ও অনিয়ম এই খাতের অনেক কিছুকে ব্যাহত করছে। কিন্তু, এগুলোর অনেক কিছুর সঙ্গেই চিকিৎসকরা সরাসরি জড়িত নন। উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি রাজধানীসহ দেশের আট জেলার ১১টি সরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে হাসপাতালগুলোতে ৪০ শতাংশ চিকিৎসকের অনুপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তারপর থেকে এই বিষয়ে নানা মন্তব্য শুরু হয়। তথ্যসূত্র: বাংলা ট্রিবিউন এমইউ/০৫:১০/৩১ জানুয়ারি